করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর রবিবার থেকে খুলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। চালু হচ্ছে গণপরিবহনও। মানুষের জীবিকা ও সামাগ্রিক অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে অফিস খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও সবাইকে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এসব নির্দেশনা দিয়েছে দেশের স্বাস্থ্যবিভাগ।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অফিস চালু করার আগে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ, আঙিনা, রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের পথে থার্মাল স্ক্যানার, থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে। অফিসে পরিবহন অবশ্যই জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পারিক ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সকলকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে সার্জিক্যাল মাস হলে তা তিন স্তরবিশিষ্ট হতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সার্জিক্যাল মাস্ক একবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া কাপড়ের তৈরি তিন স্তর বিশিষ্ট মাস্ক ব্যবহার করা যাবে। কাপড়ের মাস্ক সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।
‘যাত্রার পূর্ব যাত্রাকালীন পথে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব ন্যূনতম তিন ফুট বজায় রাখতে হবে। প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে।’
স্বাস্থ্যবিধিতে বলা হয়েছে, ‘অফিসসমূহে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কর্মস্থলে সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং ঘনঘন সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।’
‘কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনা সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধি সমূহ মেনে চলছেন কিনা তা মনিটরিং করতে হবে। ভিজিলান্স টিম এর মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।’
কোন কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন রাখার ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।