করোনা শনাক্তকরণে গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকরী নয়। প্রথম দুই সপ্তাহে কিট ব্যবহার করে শুধু ১১-৪০ শতাংশ রোগীর রোগ শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার কনক কান্তি বড়ুয়া।
বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে বিএসএমএমইউ-এর মিল্টন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা সম্পর্কে এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সকালে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে গঠিত পারফরমেন্স কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রসঙ্গত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট নিয়ে শুরু থেকে অনেক বিতর্কের পরে গত ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বা আইসিডিডিআরবিতে উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর গত ১৩ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউতে প্রথম দফায় কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য। একইসঙ্গে পরীক্ষা খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা দেয় তারা। এরপরও বিভিন্ন সময় কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।