শুক্রবার (১০ মে) রাতে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে ফাতেমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের খবর পেয়ে নেত্রকোণার কলমাকান্দা থানার পুলিশ এক গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে।
রাত সাড়ে বারোটার দিকে কলমাকান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গৃহবধূকে স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী জাহাঙ্গীর আলম, সতীন নার্গিস আক্তার, শ্বশুর মনসুর আলী, ননদ ফরিদা আক্তার সহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ঘরে প্রথম স্ত্রী থাকার পরও একই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমাকে বিয়ে করে দ্বিতীয় বউ হিসেবে ঘরে তোলে। কিন্তু ফাতেমাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি জাহাঙ্গীরের প্রথম স্ত্রীসহ তার পরিবারের লোকজন। বনিবনা না হওয়ায় একপর্যায়ে গত তিন/চার মাস আগে স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে ফাতেমার সাথে জাহাঙ্গীরের বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ফাতেমা তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।
এদিকে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর গত তিন চার দিন পূর্বে জাহাঙ্গীর আবারো ফাতেমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ফাতেমাকে পুনরায় বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরপরই তার উপর শুরু হয় জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের লোকদের নির্যাতন। একপর্যায়ে ফাতেমাকে লোহার শিকলে বেঁধে রেখে নির্যাতনকরে শুশ্বর বাড়ির লোকজন ।
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজহারুল করিম জানান, গৃহবধূ ফাতেমাকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তার স্বামী ও সতীনসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।