যুবরাজ শামীমের পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘হাজত।‘ এই হাজত মূলত অপরাধবোধের গল্প। এই সিনেমার প্রধান চরিত্র সাদেক একটি ভয়ংকর অপরাধ করে। আর সেই অপরাধ সম্পর্কে আশপাশের কেউ কখনো জানতে পারেনা। সেই সুবাধে তাঁর স্বাভাবিক জীবন স্বাভাবিকভাবেই পার হবার কথা। কিন্তু সাদেকের ভেতরের অপরাধবোধ নতুন এক যন্ত্রণার জন্ম দেয়। সাদেক সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির নানা উপায় খুঁজতে থাকে।
এর গল্প লিখেছেন, চিত্রনাট্য লিখেছেন নির্মাতা শামীম নিজেই। একই সাথে চিত্রগ্রহণ করেছেন আনন্দ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে।
শামীম বলেন, অপরাধ করে সাদেক দুনিয়ার হাজত থেকে পার পেলেও বন্দী হয় তাঁর ভেতরের হাজতে। তাই সিনেমাটির নাম হাজত রাখা হয়েছে। এর আগে প্রতি শেয়ার ৫০০০ টাকা করে, সর্বমোট ১২০টি শেয়ার বিক্রি করে “আদিম” নামে একটি সিনেমার কাজ শেষ করি। যেখানে বস্তির সকল অপেশাদার অভিনেতা-অভিনেত্রী যে যার নিজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির কাজ একদম শেষ ধাপে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রিলিজের পরিকল্পনা রয়েছে।
হাজত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, সাদেক, বাদশা, দুলাল, সোহাগী, স্বপন। হাজত মূলত আদিম’র সিক্যুয়েল তবে আদিম এবং হাজত পুরোপুরি ভিন্ন সিনেমা। মানুষ প্রবৃত্তির তাড়নায় বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে আর সেই অপরাধের গল্প নিয়েই “আদিম” নির্মিত হয়েছে। অন্যদিকে অপরাধ করার পর অপরাধীর মানসিক অবস্থার গল্প নিয়ে “হাজত” নির্মিত হচ্ছে।
শামীম বলেন, আমার কাছের কয়েকজন মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা এবং আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে সিনেমাটির শুটিং করেছি। সেই অর্থে “হাজত” গণ অর্থায়নের সিনেমা।
এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ১৬ দিন শুটিং শেষে “হাজত”র শুটিংপর্ব শেষ হয়েছে। এখন সম্পাদনায় যাবার প্রস্তুতি চলছে।
হাজত টিমের একজন কুশলি বলেন, ‘আমরা শুটিং করার ক্ষেত্রে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেইনটেইন করেছি। তাছাড়া “হাজত” যেহেতু একজন চরিত্রের গল্প, সাথে কয়েকটি দৃশ্যে কয়েকজন সাপোর্টিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর আমাদের চারজনের ছোট শুটিং ইউনিট ছিলো। তাই সবমিলিয়ে শুটিং’র সময় আমরা খুব বেশি জটিলতার সম্মুখীন হইনি।’