চলমান করোনা পরিস্থিতিতে এবারের ঈদযাত্রায় নেই যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের শেষ বেলা আজ বৃহস্পতিবারও এমন দৃশ্য দেখা গেছে রাজধানীর বিভিন্ন বাস কাউন্টারে।
তবে ঈদযাত্রায় অন্যান্য বারের মতো যাত্রীদের চাপ না থাকলেও রয়েছে একইরকম টিকিট সংকট।
রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, বাসে তেমন ভিড় নেই এই শেষ মুহূর্তে এসেও। যাত্রীর অভাবে একটি বাসের আসন পূর্ণ হতে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগছে। টার্মিনালগুলোর এমন দৃশ্য দেশের স্বাভাবিক সময়ের ঈদ যাত্রার একেবারেই বিপরীত। এর পরও টিকিট নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে অনেক যাত্রী।
বাস মালিকরা বলছেন, ২৯ এবং ৩০ জুলাইয়ের টিকিট আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে রাতের যাত্রার টিকিট নিতে চান অনেকেই। সেই টিকিটগুলো সবার আগে শেষ হয়েছে।
গ্রীনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের টিকিট অনেকেই অনলাইনে কিনেছে এবার। দূরপাল্লার রুটে শীতাতপ বাস বহর তাদের। তাদের কাউন্টারে খুলনাগামী একজন যাত্রী এসেছেন। তিনি ৩০ জুলাই রাতে যাত্রা করতে চান কিন্তু রাতের সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় কাউন্টার থেকে ফিরে যাচ্ছেন তিনি।
শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস-এর এক কর্মচারী বলেন, বাসে এখন অর্ধেক যাত্রী তুলতে হচ্ছে। এ কারণে টিকিট কিন্তু এখন অর্ধেক বিক্রি করতে হয়। আর আগেভাগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে তা।
এদিকে ট্রেনেও একই অবস্থা। টিকিক অগ্রিম বিক্রি হয়েছে। প্রতিবারের মতো অতিরিক্ত কোচ ও ট্রেন যোগ হয়েনি ঈদযাত্রায়। ঈদের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির রেকর্ডে গড়েছে রেলওয়ে। এমনকি মিনিট পাঁচেকের মধ্যে শেষ হয়েছে পুরো ট্রেনের টিকিট।
কমলাপুর রেলস্টেশন ব্যবস্থাপক আমিনুল হক জানান, স্টেশনে ঈদের কোনো আমেজ নেই। মানুষ অনলাইনে নিজের মতো করে টিকিট কেটে নিয়েছেন। ট্রেনের ক্ষেত্রে অর্ধেক সিট বিক্রি করতে হয় বলে অনলাইনে সীমিত টিকিটে ব্যাপক চাপ দেখা গেছে।