প্রায় প্রতিদিনই শোনা যায় স্বামী কিংবা সঙ্গী দ্বারা অসংখ্য নারী গৃহনির্যাতন বা সহিংসতার গল্প। এর সঠিক হিসেব পাওয়া কঠিন। কিন্তু পুরুষরাও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। তবে তা নিয়ে তেমন গবেষণা নেই। এমনটাই জানিয়েছেন জার্মানির এক বিশেষজ্ঞ।
সরকারি পরিসংখ্যানের তুলনায় পুরুষেরা অনেক বেশি গৃহনিপীড়নের শিকার হয়ে থাকেন। বিষয়টি লজ্জার বলে মনে করার কারণে পুরুষেরা তা প্রকাশ করতে চায় না। একথা জানান জার্মানির রস্টক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবিষয়ক চিকিৎসক ভেরেনা কলবে।
জার্মান ক্রিমিনাল পুলিশ অফিসের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে ৩২৪ জন নারী এবং ৯৭ জন পুরুষ তাদের সাবেক পার্টনারের হত্যার শিকার হয়। সে বছরই সারা জার্মানিজুড়ে প্রায় ২৬ হাজার পুরুষ ও এক লাখ ১৪ হাজার নারী গৃহনিপীড়নের শিকার হয়।
গৃহনিপীড়নের শিকার পুরুষদের বেশিরভাগই নিজেদের পার্টনারকে পূর্বে গৃহ নির্যাতন করেছে এবং এদের ৪০ শতাংশ শৈশবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
পুরুষদের ঘরোয়া সহিংসতার চিহ্ন অনুসন্ধান করার জন্য জরুরি সেবা, ইমারজেন্সি চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কলবে বলেন, প্রয়োজনে পুরুষেরা নারীদের মতোই সাহায্য সহযোগিতা পাবেন। গৃহনিপীড়ন রোধ করতে ক্ষতিগ্রস্ত পুরুষ এবং সংস্লিষ্ট ডাক্তারদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত বলে জানান কলবে। এসব তথ্য প্রকাশ পায় জার্মান মেডিক্যাল জার্নালে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা।