সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
বুধবার বিচারপতি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে এটির শুনানি হতে পারে বলে রিট আবেদনকারী জানিয়েছেন।
রিট আবেদনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করে প্রসবকালীন অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার বন্ধে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
যেসব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক গর্ভবতীর অপ্রয়োজনীয় প্রশবকালীন অস্ত্রোপচার করে সেসব হাসপাতাল-ক্লিনিক নিষিদ্ধ করার অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনটিতে।
অপ্রয়োজনীয় প্রসবকালীন অস্ত্রোপচারকারী হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং জন্মদাত্রী কীভাবে সন্তান জন্ম দেবেন, সে সিদ্ধান্ত নিতে তার সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে পরামর্শক নিয়োগ দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র মুনাফার জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রসবজনিত অস্ত্রোপচার আমাদের দেশের বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিগুলোর সাধারণ প্রবণতা। গবেষকরা নিয়মিতভাবে সতর্ক ও অনুরোধ করে যাওয়ার পরও অপ্রয়োজনীয় প্রসবকালীন অস্ত্রোপচার নিষিদ্ধ করতে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না রাষ্ট্র।
গত ২১ জুন সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রকাশিত প্রতিবেদন উদ্বৃত করে আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গত দুই বছরে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে প্রসবকালীন অস্ত্রোপচারের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ। এতে বাবা-মায়েদের সন্তান জন্মদানে ব্যাপক পরিমাণে ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। এ ধরনের অস্ত্রোপচারে সন্তান জন্মদানে নানা ঝুঁকিও রয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে অপ্রয়োজনীয় প্রসবকালীন অস্ত্রোপচার ঠেকাতে চিকিৎসকদের উপর নজরদারির যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রিট আবেদনটিতেও সে ব্যপারে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।