উচ্চ কণ্ঠ:- এম আর স্বাধীন।
সেদিন এক ভদ্রলোক কাপড় পছন্দ করে দাম দেয়ার সময় দেখেন দামের সাথে ১৫% ভ্যাট যোগ করা হয়েছে।
সাথে সাথে ধরলেন, এই ভ্যাট কিসের?
- কর্মচারী,এটা সরকারকে দিতে হয়।
- ঠিক আছে। আপনাদের ভ্যাট নাম্বার কত?
কর্মচারী একটা নাম্বার দেখিয়ে পার পেতে চাইলেন।
কাস্টমার বললেন, মুসক ১১ ফর্ম অর্থাৎ ভ্যাট চালান দেন। সেলসম্যান অবাক।
আবার বললেন, কি হল? আমি সরকারকে ভ্যাট দিচ্ছি, আর সরকার আমাকে এর রিসিট দিবে না এটা কি হয়?, দ্রুত নীল রঙয়ের ভ্যাট চালানটি নিয়ে আসুন।
এরপর সে তার বসকে ডাকল। তিনি এসে বললেন….- কি সমস্যা ভাই?
- সমস্যা তো আপনার। মুসক বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী আমি আপনার মাধ্যমে সরকারকে ভ্যাট দিলাম, আর আপনি আমাকেতো চালানের কোন কাগজ দিলেন না।
- দোকান মালিক বললেন এটা তো আমাদের কাছে নাই?
- নাই মানে? তাহলে কোন আইনে আপনি আমার কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করলেন? আপনার বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
লোকটি চুপ। পরে ১৫% ভ্যাট ছাড়াই কাপড় দিয়ে দিলেন।
এমন হাজার হাজার শপ, রেস্টুরেন্ট, হোটেল ইত্যাদি এভাবে ভ্যাটের নামে কাস্টমারের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আত্মসাৎ করে সরকারের কোটি কোটি টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকাচ্ছে।
নিয়ম হল, যখনি কেউ আপনার ক্রয় কৃত মালামালের বিলে ভ্যাট হিসেবে টাকা কেটে নিবে, সাথে সাথে সে আপনাকে চালানের নীল রঙয়ের একটি ভ্যাটের কাগজ দিবে। আপনি সরকারকে ভ্যাট দিলেন, আর সরকার যে আপনার ক্রয় কৃত মালামালের ভ্যাট বুঝে পেল সেটার প্রমাণ এই নীল রংয়ের ভ্যাট ফর্মের কপি। ভ্যাট নিবন্ধিত সকল দোকানে সরকারি এই নীল রঙয়ের কাগজ থাকে।
অনেক সময় দোকান থেকে শুধু প্রিন্ট করা বিল অথবা কম্পিউটারে বের হওয়া বিল আমাদের দিয়ে থাকেন যেখানে ভ্যাটের টাকার পরিমাণও উল্লেখ থাকে… কিন্তু এটি ভ্যাটের সরকারি কাগজ না। নীল রঙয়ের চালান কাগজটিই হল ভ্যাটের কাগজ।
আবার অনেক প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নাম্বারই নেই, তারাও অযথা ভ্যাটের নামে টাকা আদায় করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করছে।
কেউ চালান কাগজ দিতে অস্বীকার করলে, সরাসরি এনবিআরে ফোন (16555) দিয়ে অভিযোগ করবেন অথবা সংবাদকর্মীদের বিষয়টি অবহিত করুন।