পিরোজপুর ভাণ্ডারিয়ায় ১ হাজার ৯০০ বস্তা সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রলার ডুবির দুর্ঘটনায় ট্রলার মালিকসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পর আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরিশালের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ ট্রলার মালিক মো. কাউয়ুম খাস (৩৭) এর লাশ উদ্ধার করে।
নিহতর ট্রলার মালিক কাইউম খান বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার বাসান্ডা গ্রামের শহীদ খানের ছেলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিমেন্টবোঝাই ট্রলারটি মোংলা থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে তেলিখালী ইউনিয়নের পশ্চিম জুনিয়া গ্রামের কচা নদী তীরে নোঙর করা অবস্থায় ডুবে যায়।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মোংলা থেকে ১ হাজার ৯০০ বস্তা সিমেন্ট বোঝাই করে নাম রায়হান-২ নামে ট্রলার বরিশাল উদ্দেশে যাওয়ার পথে বিকাল ৫টার দিকে ভাণ্ডারিয়ার তেলিখালী ইউনিয়নের পশ্চিম জুনিয়া গ্রামের কচা নদীর তীরে নোঙর করে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ কচা নদীর তীরবর্তী ট্রলার নোঙর করা এলাকা থেকে প্রায় ২০-২৫ শতাংশ জমি নদীতে ডুবে যায়। এ সময় সেখানে নোঙর করা ট্রলারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় ওই ট্রলারে থাকা ট্রলার মালিক কাইউম খান নিখোঁজ হন। তবে ট্রলারে থাকা চালক আবদুল মান্নান (৬৫) ও হেলপার ফয়সাল বেপারী (১৫) সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
পুলিশ ও গ্রামবাসী মিলে নিখোঁজ ট্রলার মালিককে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। পরে ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পর বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ট্রলার মালিকের লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম. মো. মাকসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি লাশ উদ্ধার করেছে। পরে নিহত ট্রলার মালিকের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।