মোশাররফ করিম ও রোবেনা রেজা জুঁই প্রণয় থেকে পরিণয়ে আবদ্ধ হয়েছিলেন ২০০৪ সালে। দেখতে দেখতে চোখের নিমিষে কেটে গিয়েছে ১৬টি বছর। বিয়ের এই দীর্ঘ সময়ে কেটেছে চড়াই উৎরাইয়ের অনেকটা সময়। সুখ-দুঃখ মিশ্রিত সময়ের অনেকটাই কেটেছে ব্যস্ততায়।
তাই এবার যেন ব্যস্ততা দূরীভূত করে বিয়ে বার্ষিকীর সময়টা একান্তে কাটানোর পুরোদস্তুর ব্যবস্থা করে ফেললেন জনপ্রিয় এই দম্পতি। বিয়ের ১৬ বছর পূর্ণ হওয়ার এই সময়টাকে আনন্দময় করে কাটানোর জন্য বেছে নিলেন পাহাড়কে।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে এবারের বিয়ে বার্ষিকী পালন করলেন মোশাররফ করিম ও জুঁই। এই ইউনিয়নের রুইলুই পাড়া ও কংলাকে কাটছে তাদের সময়। সমতলভূমি থেকে পাহাড়ের, ১৮০০ ফুট ওপরে মেঘেদের সঙ্গে খুব দারুণ সময় কাটছে এই দম্পতির। ৭ অক্টোবর বিয়ে বার্ষিকী উপলক্ষে সাজেকের চিম্বল নামের একটি রেস্টুরেন্টে কেক কাটারও আয়োজন করা হয়। সাজেকের একটি রিসোর্টে বসে কথা হয় মোশাররফ করিম ও রোবেনা রেজা জুঁইয়ের সঙ্গে।
মোশাররফ করিম উচ্চকণ্ঠকে বলেন, ‘অদ্ভুত সুন্দর এই জায়গাটা। মেঘেদের সঙ্গে খুব দারুণ কাটছে সময়। মনে হচ্ছে কিছুদিন এখানেই থেকে যাই। একটা শীতল অনুভূতি শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। বলে বোঝানো যাবে না এই অনুভূতি। সাজেক আমার খুব পছন্দ হয়েছে। তবে পরিকল্পনা নিয়ে জায়গাটাকে অনেক সুন্দর করা যেত। এই যেমন রুইলুই পাড়া থেকে কংলাক পাহাড়কে কেবল কার দিয়ে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করা যেতে পারতো।’
পাহাড়ে বিবাহবার্ষিকী পালন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসলে ব্যস্ততার জন্য কোনো কিছুই তো উপভোগ করার উপায় নেই। একটা ছুটি মিলে গেল। বলা যায় বিবাহবার্ষিকী একটা উপলক্ষ, এই উপলক্ষকে কেন্দ্র করেই পাহাড়ে চলে আসা।’
সাজেকে পাহাড়ে এসে দারুণ উৎফুল্ল রোবেনা রেজা জুঁই। তিনি বলেন, ‘খুবই সুন্দর জায়গা। এখানে এসে আমার খুব ভালো লাগছে। বিশেষ করে মেঘের মধ্যে থাকার একটা বিষয়, এটা অন্যরকম। মেঘের সঙ্গে ছবিও তুলেছি। আর সন্ধ্যায় আমাদের বিবাহবার্ষিকীর একটা ছোট আয়োজন হয়েছে এখানের একটি রেস্টুরেন্টে। সবকিছু মিলিয়ে খুব মজার সময় কাটছে।’
শুধু বেড়ানোই নয় বিয়ে বার্ষিকীরই কেকও কেটেছেন মোশাররফ-জুঁই। সাজেকের রুইলুই পাড়ার চিম্বল নামের একটি রেস্টুরেন্টের পক্ষ থেকে কেক কাটার আয়োজন করা হয়। যেখানে এই নাট্য দম্পতি কেক কেটে নিজেদের বিয়ের ১৬ বছর পূর্ণের কেক কাটেন। এ সময় অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক শামীম জামানও উপস্থিত ছিলেন।