বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কলকাতা ফ্লাইট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আগামী বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বিমানের ওয়েবসাইটের নোটিশ বোর্ডে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আগামী বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) থেকে বিমানের কলকাতা রুটের ফ্লাইটগুলো স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।’
এর আগে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ‘এয়ার বাবল’ প্যাকেজ চুক্তির আওতায় ভারতের তিনটি রুটে ফ্লাইট চালু করে বিমান। রুটগুলো হলো ঢাকা থেকে কলকাতা, দিল্লি ও চেন্নাই। এই তিন রুটে সপ্তাহে তিনটি করে ফ্লাইট। এছাড়া, ঢাকা থেকে কলকাতা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে চেন্নাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। তবে, অনুমতি পেলেও এখনো ভারত রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেনি নভোএয়ার।
নভোএয়ার সূত্রে জানা গেছে, ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সবধরনের অনুমতি নিয়ে রেখেছে সংস্থাটি। তবে ট্যুরিস্ট ভিসা চালু না হওয়ায় যাত্রী সংখ্যা এখন অনেক কম। তাই ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে না। ভারত ট্যুরিস্ট ভিসা চালু করলে আবারো এই রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
ফ্লাইট স্থগিতের বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে এই মুহূর্তে ভারতে ট্যুরিস্ট ভিসা বন্ধ থাকায় কলকাতা রুটে যাত্রী সংকট থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
এয়ারবাবল চুক্তির অধীনে ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, ভিস্তারা এবং গোএয়ার ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশি যাত্রীরা বিজনেস (ব্যবসায়িক ভিসা), মেডিক্যাল/মেডিক্যাল অ্যাটেনডেন্ট ভিসা, স্টুডেন্ট (শিক্ষার্থী ভিসা), রিসার্চ (গবেষণা), কনফারেন্স (সম্মেলন ভিসা), এমপ্লয়মেন্ট (কর্মসংস্থান ভিসা), ট্রেনিং (প্রশিক্ষণ) ভিসায় দেশটিতে যেতে পারলেও পর্যটক বা ট্যুরিস্ট ভিসা স্থগিত রেখেছে ভারত।
যাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব যাত্রীর জন্য কভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে ভারত।