বাংলাদেশ সরকার ২৪১টি অনুরোধের মাধ্যমে ৩৭১টি ইউজার আইডি বা অ্যাকাউন্ট–সম্পর্কিত তথ্য চেয়েছে ফেসবুকের কাছে। সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ৪৪ শতাংশ ক্ষেত্রে কিছু তথ্য দিয়েছে ফেসবুক।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ, জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে ফেসবুকের কাছে এ অনুরোধগুলো করা হয় বলে ফেসবুকের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফেসবুক তাদের হালনাগাদ ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়েই ফেসবুকের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য চাওয়ার হার বেড়ে গেছে। এ বছরের প্রথম ছয় মাসেই ফেসবুকের কাছে ২৩ শতাংশ বেশি তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে অনুরোধ গেছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৫টি।
সবচেয়ে বেশি অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রয়েছে ভারত, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য বছরের প্রথম ছয় মাসে ৬১ হাজার ৫২৮টি অনুরোধ করেছে, যা গত বছরের শেষার্ধের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে করা অনুরোধে সাড়া দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তথ্য নিয়ে ওই বছরের ২৮ এপ্রিল ফেসবুক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এরপর থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কী ধরনের অনুরোধ জানায়, তা তুলে ধরা হয়। তবে কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়, তা উল্লেখ করা হয় না।
ফেসবুকের তথ্য অনুযায়ী, ফেসবুকের কাছে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য চাওয়ার হার বাড়ছে। গত বছরের শেষ ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে ১৭৯টি অনুরোধ করেছিল বাংলাদেশ সরকার। ফেসবুক ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে তাতে সাড়া দিয়েছিল। ফেসবুকের প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে এবারই সবচেয়ে বেশি অনুরোধ করা হয়েছে।