এই সফরের জন্য ভারতীয় বোর্ডের কত হাতে-পায়ে ধরেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া! তাদের সব শর্ত মেনে নিয়েছে। এতকিছুর পর অজি ক্রিকেটারদের থেকে তাদের বোর্ডের প্রত্যাশা ছিল মাঠে দারুণ কিছু করার। স্টিভেন স্মিথরা এক্ষেত্রে দুইশ পারসেন্ট সফল। টানা দুই ম্যাচ জিতে ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। আজ সিডনিতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারত হেরেছে ৫১ রানের ব্যবধানে।
আজকের ম্যাচের শুরুটা প্রথম ম্যাচের মতোই ছিল। টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ১৪২ রানের ওপেনিং জুটি উপহার দেন ডেভিড ওয়ার্নার (৮৩) আর অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ (৬০)। এই দুজনের সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ থেকেই গেল। ওয়ার্নার সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে রান-আউট হয়ে যান। আর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফিঞ্চকে বিরাট কোহলির তালুবন্দি করেন পেসার মোহাম্মদ শামি।
প্রথম ম্যাচের মতো আজও বিধ্বংসী সেঞ্চুরি হাঁকান স্টিভেন স্মিথ। তার ৬৪ বলে ১০৪ রানের ইনিংসে ছিল ১৪টি চার এবং ২টি ছক্কার মার। আগের ম্যাচের মতোই তিনি ৬২ বলে তিন অংকে পৌঁছান। ভারতের বিপক্ষে স্মিথের এটি টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি। প্রথম ওয়ানডের সঙ্গে মিল রেখে আজও স্লগ ওভারে ওঠে ম্যাক্সওয়েল ঝড়। ভয়ংকর ‘ম্যাক্সি’ খেলেন ২৯ বলে অপরাজিত ৬৩* রানের টর্নেডো ইনিংস। হাঁকান ৪টি করে চার এবং ছক্কা। অজিদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩৮৯ রান।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে যথারীতি নড়বড়ে শুরু করে ভারত। শিখ ধাওয়ানের বিদায়ে ৫৮ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। অপর ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল ফিরেন ৩০ রানে। শ্রেয়স আইয়ার করেন ৩৮। এরপর অধিনায়ক বিরাট কোহলি আজ এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিন অংকের দিকে। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে তার জুটিও জমে গিয়েছিল। তবে ৮৯ রানে কোহলিকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে দেন জস হ্যাজেলউড। কোহলির ৮৭ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারি।
লোকেশ রাহুলও ইনিংস বড় করার আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু ৬৬ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে তিনি অ্যাডাম জাম্পার শিকার হন। এরপর ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা কেবলই পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে লড়তে থাকে। নিয়মিত বিরতিতে পড়তে থাকে উইকেট। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৩৮ রানে থেমে যায় ভারত। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জিতে নেয় ৫১ রানে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে স্টিভেন স্মিথের হাতে।