তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পদ্মাসেতু ও দেশের চলমান উন্নয়নের বিরোধীরা শিশু অপহরণের গুজব ছড়াচ্ছে।
এই সব দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি সতর্ক করেন। মন্ত্রী আজ তার মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যেসব দুষ্কৃতকারী এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
শুধুমাত্র শিশু অপহণের গুজবের উপর ভিত্তি করে গণপিটুনীকে অনাকাক্সিক্ষত ও অত্যন্ত হৃদয় বিদারক উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, এ ধরনের ঘটনা বেআইনী।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি গণপিটুনীতে বেশ কয়েকজন নিরপরাধ লোক মারা গেছেন এবং এই ঘটনাগুলো হত্যাকাণ্ড।
পুলিশ তাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি বলেন, তার মন্ত্রণালয়ও শিশু অপহণের গুজবের উপর ভিত্তি করে গণপিটুনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘কেউ অপহরণের একটিও প্রমাণ দেখাতে পারবে না। আমি সকলের প্রতি এই গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ করছি।’
দুষ্কৃতকারীদের সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করা উচিত। সরকার প্রথম থেকেই মাইকিং করে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, সরকার বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে। কিন্তু বিএনপি ও গণফোরামের ত্রাণ কার্যক্রম শহরের প্রেসক্লাব ও নয়া পল্টন এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমি বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর জন্য বিএনপি ও গণফোরামের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের এই আরো নেতা বলেন, সরকারের পাশাপাশি তার দলও বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে।
ড. হাছান বলেন, আগামীকাল সাংবাদিক, সংবাদকর্মী ও সংবাদ সংস্থাগুলোর সাথে নবম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ নিয়ে মন্ত্রিসভা কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের পর সরকারি বিধি-বিধান অনুসারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।