দেশের ২০ জেলার ৩২৩ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) প্রথম ধাপের ভোট নেওয়া হবে আগামী ১১ এপ্রিল। এর মধ্যে ৪১ ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
হুমায়ুন কবীর বলেন, ২০ জেলার ৬৩টি উপজেলার ৩২৩টি ইউপির মধ্যে ৪১টিতে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। অন্যগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হবে।
এ ক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে। কেননা ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার পর তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ষষ্ঠ ধাপের ৯টি পৌরসভার ভোটগ্রহণও এদিন অনুষ্ঠিত হবে।
পৌরসভাগুলো হলো ঝালকাঠি, নাঙ্গলকোট, ভাঙ্গা, চকরিয়া, সোনাগাজী, কবিরহাট, মহেশখালী, সেতাবগঞ্জ ও দেবীগঞ্জ। এসব পৌরসভায়ও ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। সচিব বলেন, কমিশনের লক্ষ্য একটাই—অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক ভোটগ্রহণ। এ জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ছয় ধাপে চার হাজারের বেশি ইউপির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হয়েছিল। এবারও চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকেই ভোট হচ্ছে। একাধিক ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে পরিষদ গঠনের জন্য কোনো সাধারণ নির্বাচনের দিন থেকে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান আছে। সে অনুযায়ী মার্চ থেকে ভোট শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ হবে ২ মার্চ। এই কারণে ভোট পেছাতে হচ্ছে। আইনে বলা আছে, দৈবদুর্বিপাকজনিত বা অন্য কোনো কারণে নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সরকার লিখিত আদেশ দিয়ে, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা দিতে পারবে।