মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে তিন সপ্তাহ ধরে চলমান বিক্ষোভ দমনে এবার সবচেয়ে বড় ধরপাকড় অভিযান শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। অভিযানের সময় পুলিশ গুলি চালালে কমপক্ষে চারজন মারা গেছেন বলে বলা হচ্ছে। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।
এএফপির বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, দাউইতে তিনজন পুরুষ এই সহিংসতায় নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও ওই ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। ইয়াঙ্গুনে একজন নিহত হয়েছেন এবং আরো বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন।
তবে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মিয়ানমার পুলিশ ররিবার বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়। তারা ইয়াঙ্গুন ও দাউই শহরে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে স্টান গ্রেনেড এবং টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে। এতে দুই প্রতিবাদকারী মারা গেছেন।
‘দ্যা মিয়ানমার নাউ’ মিডিয়া গ্রুপ ইয়াঙ্গুনের হিলডান সেন্টার মোড়ের কাছে রাস্তায় পড়ে থাকা একজন ব্যক্তির একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাকে গুলি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি ফ্রন্টিয়ার ম্যাগাজিনকে বলেছেন, একটি বাস স্টেশনে আশ্রয় নেওয়া প্রতিবাদকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন। সেই সঙ্গে অনেক মানুষ আহত হয়েছেন।
মিয়ানমারের রাজনীতিবিদ কিয়া মিন হিটেক রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দাউই শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছিল। ওই ঘটনায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়াও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। দাউই ওয়াচ সংবাদমাধ্যমও বলছে, গুলি চালানোর ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং এক ডজনেরও বেশি আহত হয়েছেন। রয়টার্সের বরাত দিয়ে আলজাজিরাও বলছে, গুলি চালানোর ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। কিন্তু গার্ডিয়ান বলছে, দাউই শহরে প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন।
নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) ব্যাপক জয় পেলেও তার স্বীকৃতি না দিয়ে সেনাবাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করে। নির্বাচিত নেত্রী সু চি ও এনএলডির অধিকাংশ নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারবন্দি করে রাখে। এর পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে এমন অস্থিরতায় নানা সময়ে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন পাঁচজন। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন বহু।
সূত্র: গার্ডিয়ান, আলজাজিরা, রয়টার্স।