গ্রাহক খাদেমুল হককে দেওয়া ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের কপি।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে দেয়া একটি বিলের কাগজে পূর্ববর্তী রিডিং এর স্থানে জিরো এবং বর্তমান রিডিং এর স্থানে জিরো। ব্যবহৃত ইউনিটের ঘরেও জিরো। অথচ বিদ্যুৎ বিলে ১২০৩ টাকা লেখা। এমন একটি বিল তৈরি করে খাদেমুল হক নামের এক গ্রাহককে দিয়েছে ভূরুঙ্গামারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। বিদ‍্যূত ব‍্যাবহার না করেই ১২শ টাকার বিল! এমন ভুতুড়ে বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই গ্রাহক।

জানা গেছে, উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের খাদেমুল হক তাঁর শান্ত এন্ড ব্রাদার্স চাউল কলের জন্য একটি শিল্প সংযোগের আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে ১ জানুয়ারি সংযোগ চালু করতে গিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ট্রান্সাফরমারে সমস্যা দেখতে পায়। পরে বিদ‍্যুৎ কতৃপক্ষ ত্রুটিযুক্ত ট্রান্সফরমারটি খুলে নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রান্সাফরমার প্রতিস্থাপনের করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে চলে যান। কিন্তু দুই মাস চলে গেলেও এখন পর্যন্ত সংযোগ মেলেনি তার চাউল কলে। তবে সংযোগ না পেলেও ১২শ টাকার বিদ্যুৎ বিল ঠিকই পেয়েছেন। এ নিয়ে অবাক হয়েছেন ওই চাউল কলের মালিক।

চাউল কলের মালিক খাদেমুল বলেন, ট্রান্সফরমার প্রতিস্হাপন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার আশ্বাসের প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও আমি চাউল কলে এক ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারিনি। অথচ আমার নামে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ১২০৩ টাকার বিদ্যুত বিল দিয়েছে। আমি বিলের কপি নিয়ে পল্লীবিদ‍্যুত অফিসে গেলে কতৃপক্ষ কোন সমাধান না দিয়ে মিনিমাম বিল পরিশোধ করতে বলেছেন।

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম কাওসার আলী বলেন, ‘সংযোগ চালু থাকলে যে বিল দেয়া হয়েছে তা তাকে পরিশোধ করতে হবে আর যদি অফিসিয়াল যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে না পারেন তাহলে বিলের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’