নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জ ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে কোস্টার ট্যাংকারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যাওয়ার ঘটনায় আরো ২১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে উদ্ধার মৃতদেহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬টিতে।
এদিকে, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়ার প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটি আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে পানির নিচ থেকে টেনে তোলা হয়।
গতকাল রবিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকের শীতলক্ষ্যার চর সৈয়দপুর এলাকার ব্রিজের কাছে এই লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। সাবিত আল হাসান নামের ডুবে যাওয়া লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছিল। লঞ্চটিতে ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিল বলে জানান জীবিত উদ্ধার কয়েকজন যাত্রী। রাত ১১টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটির সন্ধান মিললেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ওইসময় তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
দুর্ঘটনার পর গতরাত ১২টা পর্যন্ত পাঁচ নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারেন অন্তত ২০ জন। আর আহত ১১ জনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ সোমবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। একপর্যায়ে দুপুরে উদ্ধার করা হয় সম্ভব হয় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি। এসময় লঞ্চের ভেতর থেকে আরো ২১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ বিআইডাব্লিউটিএর ট্রাফিক পরিদর্শক বাবু লাল গতরাতে জানিয়েছিলেন, এমভি সাবিত আল হাসান নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এটি সন্ধ্যা ৬টার দিকে মদনগঞ্জে নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি এলাকায় পৌঁছলে এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। কার্গো জাহাজ লঞ্চটিকে ঠেলে ৫০ ফুট দূরে ব্রিজের নিচে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে এটি কাত হয়ে ডুবে যায়।