মৌসুমের শুরুতে দেশের চার জেলায় কালবৈশাখির তাণ্ডবে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। এছাড়া ঘরবাড়ি, গাছপালা বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি আমের মুকুলসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছে গাইবান্ধায়। জেলার ৫ উপজেলায় বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি, ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। ঝড়ের সময় ছোটাছুটি করতে গিয়ে গাছ চাপায় মারা গেছেন বেশ কয়েকজন। এছাড়া, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া ও রাজশাহীতেও ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখি। রাজশাহীর বাঘায় শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমের মুকুল।
রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে গাইবান্ধার ৫ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়। এতে বিধ্বস্ত হয় শতাধিক ঘরবাড়ি, ভেঙে পড়ে অসংখ্য গাছপালা। ঝড়ের সময় ছোটাছুটি করতে গিয়ে গাছ চাপায় সদর উপজেলার জোৎস্না রাণী ও আরজিনা বেগম, পলাশবাড়ীর মোস্তফাপুর গ্রামের গফফার মিয়া ও জাহানারা বেগম, ফুলছড়ির কাতলামারির গৃহবধূ শিমুলী বেগম এবং সুন্দরগঞ্জের আমেনা বেগম মারা যান।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন জানান, নিহতদের পরিবারকে দশ হাজার করে টাকা করে দেয়া হয়েছে।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপা পড়ে হালিমা খাতুন ও তার মেয়ে আফছানা মৃত্যু হয়। তাদের বাড়ি মধুখালী উপজেলার বাজিতপুর গ্রামে। কুষ্টিয়ার ভেড়ামায় ঝড়ে উড়ে যাওয়া ঢেউটিনের আঘাতে রবিউল ইসলাম নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। নিহত রবিউলের বাড়ি দৌলতপুরের শশীধড় দিয়া গ্রামে।
কালবৈশাখীর আঘাতে রাজশাহীতে ভেঙে গেছে নগরীর ৮৬টি সড়কবাতি। এছাড়া বাঘা উপজেলায় শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমের মুকুল। এছাড়া, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হেনেছে কালবৈশাখী। ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন ফসল, গাছপালা, ঘরবাড়ির। খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।