মিয়ানমারে দমনপীড়ন আর হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের গুলিতে শুক্রবারও ৮০ জনের বেশি নিরস্ত্র মানুষ নিহত হয়েছেন।
ইয়াঙ্গুনের কাছে একটি শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর রাইফেল গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে সেনাবাহিনী। অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) নামের একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা ও খবরের আউটলেট এমন তথ্য দিয়েছে।-খবর রয়টার্সের।
বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে বাগো শহরের এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তা বাহিনী মরদেহগুলো জিয়ার মুনি প্যাগোডায় স্তূপ করে স্থানটি ঘিরে রেখেছে।
শনিবার এএপিপি ও মিয়ানমার নিউজ নাউ বলছে, সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকালে ৮২ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে সূর্যোদয়ের আগেই এলোপাতাড়ি গুলি শুরু হয়, বিকাল পর্যন্ত যা অব্যাহত ছিল।
বিক্ষোভের আয়োজক ইয়ে হাতুতের বিবরণে নিউজ নাউ জানায়, এটি ঠিক গণহত্যার মতো। একটি ছায়া দেখলেও তারা গুলি করছে। শহরের বহু অধিবাসী পালিয়ে গেছেন।
এ নিয়ে সামরিক জান্তার মুখপাত্রের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় হতাহতের হিসাব রাখার কাজ করে এএপিপি। তারা এর আগে ৬১৮ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিল।
তবে তাদের এই হিসাবের সঙ্গে জান্তা সরকারের তথ্যের গরমিল রয়েছে। শুক্রবার রাজধানী নেপিদোতে জান্তা মুখপাত্র মেজর জেনারেল জো মিন তুন বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৪৮ বেসামরিক লোক ও ১৬ পুলিশ নিহত হয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোনো স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে না বলেও তিনি দাবি করেন।