বিশেষ প্রতিনিধি:
আশুগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যন আবু আসিফ আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ বালু ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, পেশিশক্তির অপব্যবহারে নীরিহ মানুষ নির্যাতন, কাজের মেয়েকে ধর্ষনের পর হত্যাসহ নানান অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের নিকট থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানাযায়, আবু আসিফ আহমেদ অবৈধভাবে সরকারী খাল-বিল দখল ও সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে অন্যের নিজের নামে লিখে নেন। জনস্বার্থে ব্যবহৃত পুকুর ভরাট করে দখলে নেন আফিস আহমেদ। অৎরধহ ইঁরষফবৎং নামে তার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আর এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই তিনি বিভিন্ন টেন্ডারবাজি করে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, আসিফ চেয়ার্যান বিএনপির লোক হয়েও আশুগঞ্জে তিনি খুবই ক্ষমতাবান ও শক্তিশালী ব্যক্তি। এর পিছনের মূল কারন, আওয়ামীলীগের সাবেক প্রভাবশালী এমপি, ডা. এইবিএম ইকবালের আপন মামা আবু আসিফ। যার ফলে তিনি পেশিশক্তির মাধ্যমে টেন্ডারবাজী করে যে কোন কাজ বাগিয়ে নেন। তার দাপটে এখানকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও কোনঠাসায় রয়েছে।
তারা জানান, পাওয়ার গ্রীডের মতো বৃহৎ কাজটি আসিফ চেয়ারম্যান পেয়েছে। সেখান থেকে কোন অফিসার পাওয়ার গ্রীডে ভিজিটে আসলে তাদের অতিরিক্ত ভাড়ায় তাদেরকে হোটেলে থাকতে বাধ্য করেন। উজান ভাটি নামে একটি হোটেল রয়েছে তার। নিচের খাবার ব্যবস্থা থাকলেও টপ ফ্লরে রয়েছে আসিফের একটি টর্চার সেল। সেখানে নীরিহ মানুষকে জিম্মি করে মারধরসহ বিভিন্ন স্বার্থ হাসিল করেন। ওই টর্চার সেলে মাদক সেবেনরও নিরাপদ স্থল। প্রতিনিয়ত সেই রুমে মাদক সেবন ও অসামাজিক কাজ করেন তার লোকেরা। আসিফ চেয়ারম্যানের রয়েছে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী। আশুগঞ্জের কোন ব্যক্তি আসিফের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলেনা।
তারা আরও জানান, ২০১৭ সালে আসিফ আহমেদ ঢাকায় তার ভাড়া বাসায় এক কাজের মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন। বিষয়টি নিহতের গরীব পরিবারকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ধামাচাপা দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে লাশ দ্রুত মাটি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।
এব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মীর সাথে যোগাযোগ করলেও তারা বলেন, আমরা অনেক কিছু দেখেও দেখিনা, শুনেও বলিনা, আমাদের মুখ বন্ধ, আবু আসিফের বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য করতে চাই না।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আবু আসিফের সাথে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।