দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
দাগনভূঞায় নারী নির্যাতন মামলার আসামী মাদকসেবী শাহেদ স্বপরিবার পলাতক রয়েছে। গত ১ মে (শনিবার) নারী নির্যাতন ও যৌতুকের দাবির প্রেক্ষিতে পাষন্ড স্বামী কাউছার আলী শাহেদ (৩২) ও তার বাবা কোরবান আলী (৫৫) ও মা মাজেদা বেগম (৪৯) কে আসামী করে দাগনভূঞা থানায় মামলা করে তানজিনা সুলতানা নামের ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার আলাইয়ারপুর গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে বিধবা তানজিনা সুলতানার সঙ্গে পাশ^বর্তী আমানউল্যাপুর গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে কাউসার আলী শাহেদের(পূর্বে বিবাহিত) বিয়ে হয় বিগত ২০১৯সালে ৫সেপ্টেম্বর। বিয়ের পর শাহেদ পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যবসা করার জন্য যৌতুক দাবি করে। পরবর্তীতে যৌতুক হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা দেয়া হলেও ব্যবসা না করে সে আত্মসাত করে। এর পরেও আরো পাঁচ লক্ষ যৌতুক হিসেবে দাবি করে। না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পাষন্ড যৌতুক লোভী স্বামী মারধর করে বাসা থেকে এক কাপড়ে বের করে দেয় ভুক্তভোগীকে। বাধ্য হয়ে গত ১মে শনিবার রাতে থানায় কাউসার আলী শাহেদ ও তার বাবা কোরবান আলী এবং তার মা মাজেদা বেগমকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।
মামলার বাদিনী কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমার মৃত স্বামীর পাওনা টাকা ও তাকে দিয়েছি সুখের আশায়। আরো যৌতুকের দাবিতে প্রায় রাতে মাদক সেবন করে আমাকে মারধর করে। একমাত্র মেয়ের দিকে তাকিয়ে নিরবে তার সকল নির্যাতন সহ্য করে আসছি। এখন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধমকি দিচ্ছে। ফলে আমি পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মামলা তদন্তকারী অফিসার এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান আসামীরা বাসায় তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছে। তারপরেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে। সৈয়দ ইয়াছিন সুমন সাবেক সভাপতি দাগনভূঞা প্রেসক্লাব ০১৭১২৫৮১২৬০