ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে দৌলতদিয়ায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে আজ মঙ্গলবারও। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় প্রতিটি ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হতে দেখা যায় কর্মস্থলমুখী মানুষদের। তবে করোনা সংক্রমণের ভয় কারও মধ্যেই দেখা যায়নি। গণপরিবহন না থাকায় দূরপাল্লার যাত্রীদের যানবাহন পরিবর্তনের ফলে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

ছোট ছোট যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছাতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। তারপরও বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পেরে তাদের আনন্দটা ছিল ভিন্ন। এখন কাজের তাগিদে তারা কর্মস্থলে ফিরছেন, কর্মে যোগ দিতে তাদের এ ছুটে চলা প্রতিদিনই অব্যাহত রয়েছে।

যাত্রীরা জানান, ছুটি শেষ হওয়ায় তারা কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় যাচ্ছেন। তবে ছুটি কম থাকায় কাজে ফিরতে হচ্ছে দ্রুত। গণপরিবহন না থাকায় পরিবার ও বাচ্চাদের নিয়ে রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভাড়াও লাগছে বেশি। ব্যক্তিগত যানবাহন যাদের আছে তারা একটু স্বস্তিতে পৌঁছাতে পারছেন গন্তব্যে। সাধারণ মানুষ ছোট ছোট যানবাহনে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে চরম ভোগান্তিতে যাচ্ছেন কর্মস্থলে।

বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৬টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে সচল রয়েছে। বর্তমানে যানবাহনের চাপ কম রয়েছে, চাপ বেশি যাত্রীদের।