ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী দুদিন ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত দু’দিন পর কমে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের দিকে সরে যাওয়ায় সাগর ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। তবে পূর্ণিমা থাকায় সাগরে জোয়ারের উচ্চতা ৬ ফুটের বেশি বেড়ে গিয়ে বাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।
আজ বুধবার (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড়টি বিকেল ৩ টা নাগাদ ডামরার উত্তর এবং বালাশারের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করে। এটি পরবর্তীতে আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে বর্তমানে উপকূলীয় উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের ওপর আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
শুক্রবারের (২৮ মে) দিকে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পেতে পাবে এবং তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে ফের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।