ইউরোয় ৮ গোলের রোমাঞ্চের এক ম্যাচে দেখা মিলল ফুটবলীয় চড়াই-উৎরাইয়ের রোমাঞ্চকর চিত্রনাট্যের। তাতে ক্রোয়েশিয়াকে বিদায় করে সেরা আটে জায়গা করে নিয়েছে স্পেন।
শুরুতে গোলরক্ষকের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়া, তবুও দারুণ আধিপত্য দেখিয়ে বড় জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল স্পেন। কিন্তু শেষ দিকের দুই গোলে ফের ম্যাচে ফেরে ক্রোয়েশিয়া।
পরে যোগ করা সময়ে দ্রুত দুই গোল স্পেনের। এমন ঘটনাবহুল রোমাঞ্চকর ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
সোমবার কোপেনহেগেনর পারকেন স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়া লা রোহাদের হয়ে একটি করে গোল করেন পাবলো সারাবিয়া, সেসার আসপিলিকুয়েতা, ফেরান তোরেস, আলভারো মোরাতা ও মিকেল ওইয়ারসাবাল। আর ক্রোয়েশিয়ার হয়ে একটি করে গোল করেন মিসলাভ ওরসিচ ও মারিও পাসালিচ।
আক্রমণাত্মক শুরু করা স্পেন ম্যাচের প্রথমেই বেশ কয়েকটি সুযোগ পায়। তবে তা থেকে গোল আদায় করে নিতে পারেনি। কিন্তু শ্রোতের বিপরীতে ২০তম মিনিটে উল্টো গোল হজম করে বসে। পেদ্রির ব্যাকপাস থেকে গোলরক্ষক উনাই সিমনের হাস্যকর ভুলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। বল ঠিকমতো রিসিভ করতে না পারায় জালে জড়ায়।
তবে গোল হজম করে আরো তেঁতে ওঠে স্পেন। খেলার ৩৮তম মিনিটে সারাবিয়ার গোলে সমতায় ফেরে স্পেন। পরে ৫৭তম মিনিটে সেজার আসপিলিকুয়েতা ও ৭৭তম মিনিটে ফেরান তোরেসের গোলে ৩–১ গোলে এগিয়ে যায় ইউরোর তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের শেষদিকে রোমাঞ্চ শুরু হয়। ৮৫তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় মিসলাভ ওরসিচের গোলে ব্যবধান কমায় ক্রোয়েশিয়া। আর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সমতা ফেরে ক্রোয়াটরা। ওরসিচের ক্রস থেকে মারিও পাসালিচ হেডে গোল করে ম্যাচকে নিয়ে যান অতিরিক্ত সময়ে।
কিন্তু এবার আর ছাড় দেয়নি স্প্যানিশরা। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেই আলভারো মোরাতা ও মিকেল ওইয়ারসাবালের গোল তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে দেয়।