ঈদের আগে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষ। শনিবার সকাল থেকেই মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড ভিড় বেড়েছে।
ফেরি ও লঞ্চে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষদের। মাইকিং করা হলেও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
ছবি: সংগৃহীত
বিশেষ করে লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের নির্দেশ মানছে না শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি-কাওড়াকান্দি লঞ্চ চালক-শ্রমিকেরা। তারা অর্ধেকের বেশি যাত্রী উঠাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যাত্রীরা নিয়ম-শৃঙ্খলার তোয়াক্কা না করে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে উঠে পড়ছেন। ফেরিতেও একই অবস্থা। লঞ্চে স্থান না পেরে ফেরিতেও অনেক যাত্রী পদ্মা পার হচ্ছে। গরু ভর্তি ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ ঢাকামুখী যাত্রীও রয়েছে।
সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই ফেরি ও লঞ্চে যাত্রী পারাপার করার ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ছবি: সংগৃহীত
শিমুলিয়া ফেরিঘাট সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকাল থেকেই শিমুলিয়া ঘাট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে যাত্রা করে ২১ জেলার মানুষ।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম (মেরিন) আহম্মদ আলী জানান, শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৫ শতাধিক যানবাহন। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিএ’র ঘাট পরিদর্শক মো. সোলায়মান হোসেন জানান, শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি-কাওড়াকান্দি নৌ-রুটে ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। মাইকিং করে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সার্বক্ষণিক চেষ্টা করা হচ্ছে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে সেজন্য লঞ্চঘাটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট রয়েছে।