ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এবারের লকডাউন সবচেয়ে কঠোর হবে বলে সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছে। মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সব ধরনের দোকানপাট, গণপরিবহন এবং শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে। তবে বিধিনিষেধের মধ্যে বিদেশ যাওয়া-আসা করা যাত্রীদের জন্য অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ, ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু বিদেশ থেকে আসা এবং বিদেশগামী আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীরা অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে চলাচল করতে পারবেন।
বেবিচকের পরিচালক (এয়ার ট্রান্সপোর্টেশন) এ কে এম ফজলুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, এই তিন এয়ারলাইন্স যাত্রী পরিবহনের আগে সেই যাত্রীর আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের টিকিট রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করবে। বিমানবন্দরে চেক ইন ও বোর্ডিংয়ের সময় তা পরীক্ষা করে দেখবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৩ জুলাই এক চিঠিতে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সব ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করে বেবিচক। তবে বিদেশে যাওয়া-আসা করা যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে বিধিনিষেধের এই নির্দেশনা কিছুটা শিথিল করা হলো।
এর আগে গত ১লা জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ১৪ই জুলাই থেকে ২৩শে জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত আরোপিত সব বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। ২৩ জুলাই সকাল ছয়টার পর থেকে আবারও ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যা চলবে আগামী ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত।