ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের জেলাধীন ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় ১নং ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের স্কুলছাত্রী (১১) কে বাড়ির পাশে পানের বরজে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ হয়েছে। ওই স্কুলছাত্রী স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। ঐ একই গ্রামের মৃত হাসেম ফরাজীর ছেলে আমির ফরাজীর (৬৫) নামে ভাণ্ডারিয়া থানায় মামলা করেছেন ঐ ছাত্রীর মা।
স্কুলছাত্রীর মা ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, শিশুটির বাবা অসুস্থ্য থাকার কারনে পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল না, আমির ফরাজী বেশ কয়েক দিন শিশুকে সুপারি টোকানোর কথা বলে, বিনিময়ে ১০টাকা করে দেয়ার লোভ দেখায়।
গত ২ আগস্ট সোমবার দুপুরে শিশুটি সুপারী নিয়ে আমির ফরাজীর কাছে ১০ টাকা আনতে গেলে শিশুটিকে পানের বরজে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে প্রতিবেশী এক দম্পতি ছুটে এসে প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ধাক্কা দেয় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে ওই ধর্ষক আমির ফরাজী লোকজন নিয়ে বুধবার দুপুরে ওই ধর্ষিতা শিশুটির বসতবাড়িতে গিয়ে স্থানীয় ভাবে ঘটনাটি শালিস বৈঠকের মাধ্যমে দামাচাপা দেয়ার আয়োজন করেন।
এ সময় ওই অসহায় পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দেবে বলে লোভ দেখায় এবং কাউকে কিছু না বলার জন্য চাপ দেন। স্থানীয়রা জানান, ঘটনাটি শুনতে পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা থানা পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ওই শিশুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ আসার টের পেয়ে আমির ফরাজী পালিয়েছে ও স্থানীয় শালিসদাররা চুপসে গেছে। ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুমুর রহমান বিশ্বাস বলেন, শিশুটির মা ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।