উইকেট আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে। আগে ব্যাট করে ১৯ ওভার ব্যাট করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্সদের নিয়েও ৯২ রানে অলআউট!
এমন ব্যাটিংয়ে কি কিছু মনে পড়ল? না, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দলের সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরের উইকেট মনে পড়তেও পারে!
সে যা–ই হোক, স্থগিত হওয়া আইপিএলে আরব আমিরাতে পুনরায় মাঠে গড়ানোর পর সেখানে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মোটেও ভালো করতে পারেনি বেঙ্গালুরু।
তাদের এই স্বল্প সংগ্রহ ১০ ওভারেই টপকে গিয়ে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলের আরব আমিরাত অংশে জয় দিয়ে শুরু করল এউইন মরগানের দল। ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠে এল কলকাতা।
আইপিএলে এটা ছিল কোহলির ২০০তম ম্যাচ। পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে মাইলফলকটি ছুঁলেন তিনি। তবে নির্দিষ্ট একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আইপিএলে ২০০তম ম্যাচ খেললেন কোহলি। যদিও দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে এই ম্যাচ তিনি ভুলে যেতে চাইবেন।
কেউ যে অন্তত ৩০ রানও করতে পারেনি! সর্বোচ্চ ২২ রান এসেছে দেবদূত পাড়িক্কালের ব্যাট থেকে। ১৬ রান করেন শিখর ভরত। অধিনায়ক কোহলি ওপেন করে ৪ বলে ৫ রান করে আউট হন। ৫১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারালেও বাকি ৪১ রান তুলতে ৭ উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। মিডল অর্ডারে কেউ দাঁড়াতে পারেননি। কোনো রান না করেই আউট হন এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ওয়ানিন্ডু হাসারাঙা।
সাকিব আল হাসানের জায়গায় খেলতে নামা সুনীল নারাইন ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। দারুণ বল করেছেন কলকাতার অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। ৩ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। ৪ ওভারে ১৩ রানে ৩ উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। ২৪ রানে ২ উইকেট নেন নিউজিল্যান্ডের পেসার লকি ফার্গুসন। ২৪ রানে ১ উইকেট প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার।
রান তাড়া করতে নেমে ৬০ বল হাতে রেখে জিতেছে কলকাতা। ৩৪ বলে ৪৮ রান করে আউট হন ওপেনার শুভমান গিল। ২৭ বলে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ২৩ রানে ১ উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহাল।