তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদও আসামি হচ্ছেন মাস্ক-পিপিইসহ সরঞ্জাম সরবরাহ এবং করোনা সনদ অনিয়মের মামলায়। এ ঘটনায় মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মামলায় আসামি না করা হলেও তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুদক। অভিযোগের মধ্যে আরো আছে প্রতারক সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণা এবং করোনা সনদ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন। ছয়জনের মধ্যে আরো আছেন কারাগারে থাকা রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চার কর্মকর্তা। দুদদ সূত্র জানায়, এই ছয়জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুদক। শিগগিরই আদালতে এ অভিযোগপত্র পেশ করা হবে।
অনুমোদিত অভিযোগপত্রে ছয় বছর ধরে নবায়ন বন্ধ থাকা রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে কভিড চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করা চুক্তিকে অবৈধ বলা হয়েছে। এই অবৈধ চুক্তির ওপর ভর করেই করোনায় আক্রান্ত রোগীদের নমুনা পরীক্ষার নামে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ। আসামি তালিকায় থাকা স্বাস্থ্যের চার কর্মকর্তা হলেন অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক শফিউর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম।