দুঃসময়ের রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত হতে বিসিবি`র কাছে বিশ্রাম চেয়েছেন তামিম ইকবাল খান। শনিবার এক মাসের ছুটি চেয়ে বোর্ডের কাছে আবেদন করেছেন তিনি। তামিমের এ ছুটি মঞ্জুরও করা হচ্ছে বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে- সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে তামিমকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এমনকি টেস্টের পর জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তানকে নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য ত্রিদেশীয় সিরিজেও খেলা হচ্ছে না তার। এই সময়ে ফিটনেস নিয়ে কাজ করবেন তামিম। ৩০ বছর বয়সী এ ওপেনার জানিয়েছেন, দেশের বাইরে যাচ্ছেন তিনি।
ছুটি কাটিয়ে তামিম জাতীয় দলে ফিরবেন ভারত সফরকে সামনে রেখে। আগামী নভেম্বরে বিরাট কোহলিদের সঙ্গে তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ওই সফরের আগেই মানসিক অবসাদ দূর করতে চান তামিম। গত তিন মাস ধরে বাইশ গজে রানের জন্য সংগ্রাম করতে করতে তামিম এমনিতেই ক্লান্ত। বিশ্রামটা তার জন্য আসলেই জরুরি।
এদিকে, বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযানে ব্যর্থতার দায়ে যে ক’জনকে কাঠগড়ায় তোলা যায় তাদের মধ্যে তামিম ইকবাল অন্যতম। কেননা, মেগা এ আসরজুড়েই যে নিজেকে খুঁজে ফিরেছেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান।
বিশ্বকাপ শেষে শ্রীলঙ্কা সফরেও নিজেকে খুঁজে পাননি তিনি।
নিজের এক যুগের ক্যারিয়ারে এটাই সবচেয়ে বাজে সময় পার করছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান। এটা যে ঠিক কত দিন চলবে বা ঠিক কবে নাগাদ তিনি রাহুমুক্ত হবেন- তা যেমন তামিমের নিজেরই জানা নেই, তেমনি জানা নেই ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট গুণীজনদেরও।
এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে তামিম করেছিলেন ১৫৪ রান। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে তো আরও বাজে অবস্থা। আট ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে মাত্র একটিতে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। এমনিতেই ফর্মহীনতা, তার ওপর তামিমের স্ট্রাইক-রেট নিয়েও তুমুল সমালোচনা। স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিংয়ের কারণে ভালোই বিদ্ধ হয়েছেন ড্যাশিং এ ওপেনার।
নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে অংশ নিতে শ্রীলঙ্কায়ও গিয়েছিলেন তামিম। তাও আবার বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে, ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হয়ে। কিন্তু দ্বীপরাষ্ট্রটির মাঠে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে আরও বিবর্ণ রূপে দেখা যায় তামিমকে।
লঙ্কানদের বিপক্ষে ওই তিন ম্যাচে মাত্র ২১ রান করেন অধিনায়ক তামিম। কিন্তু একটানা কেন এমন হচ্ছে? উত্তর জানেন না তামিম নিজেও।