মোহাম্মদ আলী আশরাফ উদ্দিন , সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :
আমরা সবাই জানি যে কুরবানীর উদ্দেশ্য হচ্ছে শুধুমাত্র ও একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা
“”কোরবানির মাংস বা রক্ত কোন কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না আল্লাহর কাছে পৌঁছে শুধুমাত্র আল্লাহ-সচেতনতা””
(সুরা হজ-আয়াত ৩৭)
কিন্তু আমরা ক’জন তা করতে পারছি তা করছি ??
আপনাদের প্রতি আকুল আবেদন আসুন কুরবানীর এই অপ শিষ্টাচার থেকে নিজে মুগ্ধ হই ও অন্যকে মুক্ত করি!!
এই উপলক্ষে যা করতে হবে এবং যা থেকে বিরত থাকতে হবে–
** কুরবানীর পশুর দাম জিজ্ঞেস করবেন না ও নিজেও বলবেন না কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন
“আল্লাহ তাআলা যা সামর্থ্য দিয়েছে তাই দিয়ে কিনেছি ” ( কারণ কুরবানীর পশুর কোন দাম হয় না, চিন্তা করে দেখেন তো ভালোবাসার কি কোন দাম হয়!! আর কুরবানী তো হচ্ছে আল্লাহকে ভালোবাসার একটি মাধ্যম মাত্র ইহাকে কি দাম দিয়ে যাচাই করা যায়)
** কুরবানীর পশু কোন পণ্য নয় কুরবানী হলো মহান আল্লাহ তা’আলা কে সন্তুষ্ট করা একটি মাধ্যম মাত্র
** পশুর দাম ও আকার নিয়ে অসুস্থ সামাজিক প্রতিযোগিতা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন
** কোরবানির পশু কেনার পর বাজার দর যাচাই করে এ নিয়ে অহেতুক আলাপ-আলোচনায় যাবেন না
** দাম নিয়ে নিয়ে ঠকে গেছি বা জিতে গেছি এই ধরনের আফসোস বা বড়াই করবেন না এবং অন্যকে এ বিষয়ে কোন খোঁচা দিবেন না
** কোরবানির মাংসের ওজন নিয়েও আলোচনা ও বড়াই করবেন না
** কুরবানী গোশত যথাযথ বিতরণ করুন
** কুরবানী গোশত সংরক্ষণ করতে হবে এবং অনেক দিন ধরে খেতে হবে এই মানসিকতা নিয়ে ফ্রিজ কিনবেন না (যদি একান্তই প্রয়োজন হয় ফ্রিজ কেনার তবে তা ভিন্ন কথা)
** কদিন পর তো কোরবানিই দিয়ে দিব এই উদ্দেশ্যে কুরবানী পশুকে অযত্নে অবহেলা রাখবেন না
** কুরবানীর পশুর সাথে সেলফি তোলা, ভিডিও করা, কোন লাইভে আসা এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা থেকে একেবারেই বিরত থাকুন কারণ এটা নিঃসন্দেহে একটা গর্হিত কাজ
** আপনার কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য নিজ উদ্যোগেই পরিষ্কার করুন আপনার কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যেন কোন ভাবেই সামাজিক ভাবে বা অন্যের কোন ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায় এ ব্যাপারে আপনি যথেষ্ট সচেতন থাকবেন
** ঈদের ছুটিতে নিজের পরিবারকে সময় দিন টিভি, ইন্টারনেট,ফেইসবুক,ইউটিউব আসক্তি সহ সকল ভার্চুয়াল ভাইরাস থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন।
আপনাদের সকলের কুরবানি আল্লাহ সোবহানা তালা কবুল করুক এবং সুন্দর ঈদ উদযাপন করুন এই প্রত্যাশায়