কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রুমন।

এতে অভিযাগ করা হয়, এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার কারণেই চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা সোহেলকে গুলি করে হত্যা করে।

তবে, এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের আধা কিলোমিটার দূরের সংরাইশ এলাকা থেকে অস্ত্র, গুলি ও হাতবোমাসহ নানা বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, কাউন্সিলর সোহেল হত্যায় ব্যবহার করা হয় এসব অস্ত্র।

মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ডে সংরাইশের একটি বাড়ির পাশ থেকে এসব সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার পর মঙ্গলবার পুলিশ জানায়, ৯৯৯-এ কল পেয়ে রহিম ডাক্তারের বাসার গলির ফাঁকা যায়গা থেকে ৩টি কালোব্যাগ উদ্ধার করা হয়। পরে ব্যাগ থেকে দুটি এলজি, একটি পাইপগান, ১২ রাউন্ড গুলি, ২০টি হাতবোমা, একটি লোহার রড, দুটি কালো রংয়ের টি শার্ট পাওয়া যায়। সোমবার কাউন্সিলর সোহেল হত্যাকাণ্ড শেষে এসব অস্ত্র সন্ত্রাসীরা ফেলে যায় বলে ধারণা পুলিশের।

গতকাল বাদ জোহর জানাজা শেষে সুজানগর পাথুরিয়া পাড়া ঈদগাহ মাঠে সোহেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও শ্রমিক লীগ নেতা হরিপদ সাহার স্বজনদের ভিড়। বেলা ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হয় মরদেহ।

সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় কুমিল্লার পাথরিয়া পাড়ার কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেলকে। এসময় তার সহযোগী হরিপদও মারা যান। গুলিবিদ্ধ আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

২০১২ ও ২০১৭ সালে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র নির্বািচিত হন।