রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে আগুনে অনেক মালামাল পুড়ে গেছে। কিছু কিছু জিনিসপত্র বাঁচাতে পারলেও অনেক মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা যেসব মালামাল উদ্ধার করতে পেরেছেন সেগুলো সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মাইশা গার্মেন্টসের ব্যবসায়ী সাইফুল বেপারী বলেন, ‘আমার একটা দোকান ছিল। চাচাতো ভাইদের ছিল আরো তিনটা দোকান। মোট চারটা দোকান ছিল। দুই কোটি টাকার ওপরে মালামাল ছিল। দোকানগুলোতে মেয়েদের আন্ডার গার্মেটস, প্রসাধনী, স্পোর্টসের জিনিসপত্র বিক্রি হতো। দোতলায় দোকানটা ছিল। অনেক চেষ্টা করছি ভাই। মাত্র অল্প মালামাল বের করতে পারছি ভাই।’
মালামালগুলো কোথায় নিয়ে যাবেন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘মাল বাসায় লইয়া যামু গা। আর কী করমু ভাই। লালবাগ বাসা আছে।’ তিনি আরো বলেন, রাত ৩টা পর্যন্ত গতকাল দোকানে ছিলাম। এরপর এখানে ফুট ওভারব্রিজ ভাঙ্গবো বলে আমাদের চলে যেতে বলে। সাহরি খাইতে বাসার দিকে যাই। ৬টার দিকে আগুন লাগছে শুনে চলে আসছি। অনেক চেষ্টা করছি ভাই, বেশি কিছু বাঁচাইতে পারি নাই।’
ব্যবসায়ীদের জন্য এখন চলছে ঈদ মৌসুম। এমন মৌসুমেই তারা সবচেয়ে বেশি বেচাবিক্রি করে থাকেন। কিন্তু এবার একটু ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। কয়েকদিনের মাথায় বেশ কয়েকটি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এসব অগ্নিদুর্ঘটনার ঘটনায় ব্যপক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন তারা।
গত ৪ এপ্রিল স্মরণকালের ভয়াবহ আগুন লাগে রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেট। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা জ্বলে, কয়েকটি মার্কেটের কয়েক হাজার দোকান পুড়ে অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসে বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দোকানগুলো। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী। এসব ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করতে এরই মধ্যে এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা।