স্টাফ রিপোর্টার:
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় শালিস বৈঠকে কাউন্সিলরের হাত ভাঙ্গার ঘটনায় অবশেষে মামলা নিল পুলিশ। মামলা তুলে নিতে হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শালিস বৈঠকে অতর্কিত হামলায় কাউন্সিলরের হাত ভেঙ্গে দেয় শরীয়তপুর জেলার ধানকাটি ইউনিয়নের চরধানকাটি গ্রামের লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে জামাল হাওরাদার। জামাল হাওলাদার পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্য।
পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত করিম চুন্নু ঢালী; সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ¦ জলিল ঢালীর ছেলে। ভুক্তভোগী কাউন্সিলর চুন্নু ঢালী স্ত্রী নাজমা আক্তার ঘটনার পরে বাদী হয়ে ৭জনকে আসামী করে ডামুড্যা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও অবশেষে ৯ মে মামলা নেয় পুলিশ। মামলা নং ৪/৪৪। আসামীরা হলেন- ১। জামাল হোসেন হাওরাদার, পিতা: লালমিয়া হাওলাদার, ২। সিদ্দিক ঢালী, পিতা: ইব্রাহীম ঢালী, ৩। মাসুদ ঢালী, পিতা: শাহজাহান ঢালী, ৪। মরিয়ম বেগম, স্বামী: সিদ্দিক ঢালী, ৫। জুলেখা বেগম, স্বামী: ইসমাইল ঢালী, ৬। ইয়াসমিন বেগম, স্বামী: জামাল হাওলাদার, ৭। মাসুদা বেগম, স্বামী: শাহজাহান ঢালী। আসামীদের মধ্যে ১নং আসামী ছাড়া বাকী ছয়জনই জামিনে রয়েছেন।
মামলার বাদী চুন্নু ঢালীর স্ত্রী নাজমা আক্তার বলেন- তিনদিন পূর্বে আমার স্বামী চুন্নু ঢালীর মোবাইলে ফোন করে জামাল ঢালী মামাতো ভায়রা ভাই সোহাগ মৃধা। তার পিতার নাম নেকমত মৃধা। সোহাগ গোসাইর হাট উপজেলায় আওয়ামী লীগ করে। আমি ফোন ধরলে তিনি প্রথমে আমাদের মিমাংসা হওয়ার কথা বলে। আমি বলেছি আমার স্বামীর হাতে অপারেশন হয়েছে। সুস্থ না হতে কোন প্রকার মিমাংসায় বসবো না। আমি এও বলেছি এখন আর মিমাংসার নয়। মিমাংসা করবে কোর্ট। তখন সোহাগ মৃধা রেগে গিয়ে আমাকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ক্ষমতার দাপট ও ভয়ভীতি দেখায়। আমি মামলা তুলে না নিলে সে আমাদের দেখে নিবে বলেও হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহাগ মৃধা বলেন- ‘মামলা তুলে নিতে কোন প্রকার হুমকি দেই নাই। আমি ফোন দিয়ে শুধু তাকে মিমাংসার কথা বলেছি। বললাম জামাল হাওলাদার একজন সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার লোক। সেওতো আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে পারতো। আপনারা চাইলেই তার চাকরি চলে যাবে না’।
উল্লেখ্য, ডামুড্যা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড, ধুপখোলা গ্রামের লেদু ঢালীর ছেলে ইসহাক ঢালী ও শাহজাহান ঢালীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। গত ১ মে সকালে উভয় পক্ষ সুষ্ঠু বিচারে শালিস বৈঠক হয়। শালিস বৈঠকে উভয় পক্ষের কথা শুনেন উপস্থিত শালিসগণ। বিভিন্ন আলোচনার মাঝে হঠাৎ করে ওই বাড়ীর জামাই জামাল হাওলাদারসহ আরও কয়েকজন কাউন্সিলর চুন্নু ঢালীর উপর হামলা চালিয়ে একটি হাত ভেঙ্গে দেয়।