আউটসোর্সিং নিয়োগকৃত ৪৩১ জন অফিস সহায়ককে প্রকল্প শেষে কর্মক্ষেত্রে বহাল এবং পদ সৃজনপূর্বক রাজস্বখাতে স্থানান্তরের “মানববন্ধন”
বিশেষ প্রতিনিধি:
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ (২য় সংশোধনী) প্রকল্পে কর্মরত আউটসোর্সিং নিয়োগকৃত ৪৩১ জন অফিস সহায়ককে প্রকল্প শেষে কর্মক্ষেত্রে বহাল এবং পদ সৃজনপূর্বক রাজস্বখাতে স্থানান্তরের “মানববন্ধন” করছেন এই প্রকল্পের অফিস সহায়ক কর্মচারীবৃন্দ
https://fb.watch/l51cka8MVi/?mibextid=ZbWKwL
আজ ১১/০৬/২০২৩ তারিখ রোজ রবিবার সকাল ১০ ঘটিকায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর সামনে মানববন্ধন করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের অফিস সহায়ক কর্মচারীবৃন্দ। ৪৩১ জন অফিস সহায়ক এমন একটি প্রকল্পের সহায়ক যে প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব গৃহীত “নারী ক্ষমতায়ন” এর প্রধান একটি প্রকল্প। যার প্রধান উদ্দেশ্য নারীদের বেকারত্বের দূরীকরণ এবং উদ্যোক্তা তৈরি করা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৮৪ হাজারের অধিক নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পের এই সফলতার অন্যতম কারিগর এই অফিস সহায়ক বৃন্দ। প্রকল্প সফলতার মুখ দেখলেও প্রকল্প যে জনবলের মাধ্যমে সফল সে জনগণের একাংশ অফিস সহায়ক আজ আমরা ব্যর্থ। ৩০ শে জুন আমাদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পে যদি ৮৪ হাজারের বেশি বেকারত্ব দূরীকরণ করা হয়েছে, কিন্তু সফলতার অন্যতম ৪৩১ জন অফিস সহায়ক জনবল আজ বেকার হতে যাচ্ছে।
https://www.youtube.com/live/m7BVhjFXL_w?feature=share
মানববন্ধনের উপস্থিত অফিস সহায়কদের কাছ থেকে জানা যায়, তারা শুধু প্রকল্পের কাজ নয়, আমরা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের কম্পিউটার অপারেটর এর পাশাপাশি সকল কাজে দক্ষতার সাথে সহযোগিতা করে আসছি। আউটসোর্সিং নামক দাশ প্রথায় নিয়োগ পেয়ে চাকরি নামক সার্থকতা টি আজ আমাদের কাছে রাজা দ্বারা প্রজাদের শোষণের দারুন এক হাতিয়ার বলে মনে হচ্ছে। তাই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাই আউটসোর্সিং নামক দাস প্রথা বাতিল এবং আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে আমাদের ৪৩১টি পরিবারকে বাঁচার রাস্তা করে দেয়। তারা আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত মহৎ উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়ন সফল হোক। এই আইজিএ প্রকল্প সফল হোক। এই আইজিএ প্রকল্প চলমান রাখতে জনবল সহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
আইজিএ অফিস সহায়ক কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ ফিরোজুর রহমান বলেন, ৪৩১ পরিবার আজ রাস্তায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন বিশেষ বিবেচনায় আমাদের চাকরি করার বয়স সীমা ও শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা অন্য কোথাও চাকরিতে ঢুকতে পারবো না তাই এই প্রকল্পটির চলমান রেখে জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জোর দাবি জানাচ্ছি।
আইজিএ অফিস সহায়ক কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ বলেন, আমরা নিরুপায়, আমাদের পরিবার নিয়ে বাঁচার সুযোগ করে দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত মহৎ উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়ন সফল হোক। এই আইজিএ প্রকল্প সফল হোক। এই আইজিএ প্রকল্প চলমান রাখতে জনবল সহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
অফিস সহায়ক নারীকর্মী মাহমুদা সিদ্দিকা মনিরা বলেন,
এই প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব গৃহীত “নারী ক্ষমতায়ন” এর প্রধান একটি প্রকল্প। আমরা নারীরা এই প্রকল্পে প্রায় ৮০ শতাংশ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে চাকরি করছি। এই মহিলাদের মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, নাতি নাতনি। এ প্রকল্প রয়েছে বিধবা, স্বামীহারা, এতিম অসংখ্য নারী কর্মী। তিনি আরো বলেন সদ্য চার মাস আগেও আমাদের এক সহকর্মী তার স্বামীকে হারান। তার কোলে চার মাসের বাচ্চা। এই নারী এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে! তিনি আরো বলেন আমরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছি যাতে আমাদের দাবিগুলো মেনে আইজিএ প্রকল্প চলমান রাখতে জনবল সহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের করে।
নেতাকর্মীরা বলেন যদি তাদের দাবি না মানা হয় তারা মানববন্ধন চলমান অব্যাহত রাখবে এবং পরবর্তীতে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।