ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ভারতীয় শাখা ইন্ডিয়ান ইকোনমিক ফোরাম ২০১৯-এ যোগ দিতে চারদিনের সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবাহিনী স্টেশনে পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী তার সফরকালীন আবাসস্থল তাজমহল হোটেলে যাবেন।
এর আগে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০৩০ ভিভিআইপি ফ্লাইটে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী।
চার দিনের এ সফরে শেখ হাসিনা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বিভিন্ন কমর্সূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও কয়েকটি চুক্তি সম্পাদন করবেন।
সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নসরুল এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।
সফরের প্রথম দিন আজ দুপুরে তাজমহল হোটেলের দরবার হলে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিট’ শীর্ষক ‘কান্ট্রি স্ট্যাটিজি ডাগালগ অন বাংলাদেশ’ এ অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসে তার সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। রাতে বাংলাদেশ ভবনে নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি।
সফরের দ্বিতীয় দিন আগামীকাল শুক্রবার সকালে সেখানকার শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসায়িক ফোরামের (আইবিবিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। দুপুরে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম (ডব্লিউএএফ) আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিট’ এর সমাপনী পর্বে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক ইস্যু সামনে আসবে মূলত সফরের তৃতীয় দিন শনিবার। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হায়দ্রাবাদ হাউজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। ওই বৈঠকে দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে আলোচনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।
সেখান থেকে দুই প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি যৌথ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী হায়দ্রাবাদ হাউজে মধ্যাহ্নভোজ করবেন। বিকেলে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় তাকে ‘টেগর পিস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হবে।
সফরের শেষ দিন রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ করছেন ভারতীয় এই নির্মাতা।
এরপর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। এদিন রাতে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।