মৃত স্বামীর অবসর ভাতা জমিয়ে তারই নামে একটি মসজিদ বানিয়েছেন এক সৌদি নারী। ওই নারীর এমন পদক্ষেপের ছবি সোমবার তার ছেলে টুইটারে প্রকাশ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলে মোহাম্মদ আল হারবি ওই ছবি প্রকাশ করার পর অনেকে প্রশংসা করেছেন। আল হারবি টুইটারে যে ছবি প্রকাশ করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে, তার মা নতুন বানানো মসজিদ প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে আছেন।
ছবির নিচে আল হারবি লিখেন, তুমি কতো মহৎ, মা…তুমি কখনও আমার মৃত বাবার অবসর ভাতা ভোগ করনি। আমার বাবার নামে মসজিদ বানানোর আগ পর্যন্ত গেলো ৩০ বছর ধরে এই টাকা জমিয়েছ। আমার বাবা শান্তিতে থাকুন এবং আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন। আল হারবি ওই টুইট করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকে ওই ছবি শেয়ারও করেন।
একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, আল্লাহ তাকে ও তার স্বামীকে পরকালেও এক করুন। আরেকজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, এটি ভালোবাসার সর্বোচ্চ রূপ।আমাদের সময়
আরো পড়ুন… সাধারণত ইসলাম ধর্মের শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর নামের সঙ্গে মিলিয়ে সন্তানদের নাম রাখেন মুসলমানরা। জার্মানিতে মুসলিমদের সংখ্যা ১০ শতাংশের বেশি না হলেও এখানে এই নামটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে এসেছে। জার্মানির বার্লিনে ২০১৮ সালে ছেলে নবজাতকের জন্য সবচেয়ে বেশি ‘মোহাম্মদ’ নামটি বেছে নেয়া হয়েছে।
এছাড়া দেশটির ১৬টি রাজ্যের ছয়টিতেই শীর্ষ দশ পছন্দের তালিকায় রয়েছে এ নাম। সম্প্রতি নবজাতকের নাম বিষয়ক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজেরর জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সংগঠনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্দ্রে এওয়েলসের ধারণা, অভিবাসনের ব্যাপকতার ফলে, মোহাম্মদ নামটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
২০২১ বা ২০২২ সালের মধ্যে নামটি জার্মানদের পছন্দ তালিকার শীর্ষ দশে জায়গা করে নেবে। বর্তমানে গোটা জার্মানিতে ছেলে শিশুদের নামের শুরুর অংশ হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘বেন’ আর মেয়ে শিশুদের জন্য ‘এমা’। এছাড়া ছেলেদের জন্য পল, লিও, নোয়াহ ও লুইস এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে জোনাস, এলিয়াস, হেনরি, ফেলিক্স ও লুকাস নাম সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে আসছে ।
২০১৫ সালের পর থেকে গত কয়েক বছরে প্রায় ১০ লাখ মুসলিম অভিবাসী ঢুকেছে জার্মানিতে। সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্থানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসলিম অভিবাসীরা জার্মান সংস্কৃতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এছাড়া তুরস্কের বিশাল একটি জনগোষ্ঠী জার্মানিতে বসবাস করে।
আয়তন ও জনসংখ্যার দিক থেকে ব্রাজিল বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। ২০ কোটি জনসংখ্যার এ দেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মসজিদ ও মুসলমানের সংখ্যাও। বর্তমানে দেশটিতে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫/৬ শতাংশ।শতাংশের হারে দেশটিতে মুসলমানের সংখ্যা কম মনে হলেও সুসংবাদ হলো ফুটবলের দেশ ব্রাজিলে দ্রুত গতিতে বাড়ছে মুসলমান ও মসজিদের সংখ্যা।১৫০০ খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিলে প্রথম ইসলামের আগমন ঘটে। ১৯৫৮ সালে এক বক্তৃতায় ব্রাজিলিয়ান ইতিহাসবিদ জোয়াকিন দেশটিতে ইসলামের আগমনের ব্যাপারে তথ্য তুলে ধরেন।
ঐতিহাসিক তথ্য মতে, বিখ্যাত পর্তুগিজ পরিব্রাজক ও আবিষ্কারক আলভারেস কারবাল যখন ব্রাজিল উপকূলে যে জাহাজ ভেড়ান, সে জাহাজে বেশকিছু সুদক্ষ, কর্মঠ ও পারদর্শী মুসলিম নাবিক ছিলেন। এদের মধ্যে শিহাবুদ্দিন বিন মাজেদ একজন।শিহাবুদ্দিন বিন মাজেদ-এর হাত ধরেই ব্রাজিলে ইসলামের পদযাত্রা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ব্রাজিলের সাওপাওলোতে প্রতি মাসে গড়ে ৬ জন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন বলে এক প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে।
১৭ লাখ মুসলমান অধ্যুষিত ব্রাজিলে বর্তমানে মসজিদের সংখ্যা প্রায় ১৩০টি। ব্রাজিলের প্রতিটি শহরেই রয়েছে মসজিদ। যেখানে ২০০০ সালে মসজিদ ৪০টির মতো সেখানে এ সংখ্যা ৪ গুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩০-এ। তাছাড়া মসজিদের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষায় রয়েছে অনেক মক্তব, মাদরাসা ও ইসলামিক স্কুল। ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরিওতে রয়েছে সবচেয়ে বড় ইসলামিক সেন্টার।
রয়েছে ইসলামিক স্কুল ও বড় মসজিদ। সাওপাওলোতে রয়েছে সবচেয়ে বড় মুসলিম কমিউনিটি।ল্যাটিন আমেরিকার এ দেশটিতে মুসলিমদের জন্য রয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলিমরা পাচ্ছে সরকারি সাহায্য ও সহায়তা।