মাদক ও মানি লন্ডারিং মামলায় ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে বহিষ্কার হওয়া খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার আরও সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (৭ অক্টোবর) শুনানি শেষে মতিঝিল ও গুলশান থানার মানি লন্ডারিং মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১০ দিনের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। পরে গুলশান থানার মানি লন্ডারিং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আরও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরি চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর মতিঝিল থানার মাদক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এ সময় তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়া ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২৭ সেপ্টম্বর সাতদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে র্যাব। গুলশান থানার অস্ত্র ও মাদক মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-৩ এর এএসপি বেলায়েত হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দিদারুল আলম অস্ত্র মামলায় ৫ দিন ও মাদক মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তার আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে নেয়া হয় যুবলীগ নেতা খালেদ হোসেন ভূঁইয়াকে। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় চারদিন এবং মাদক মামলায় তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে দুই থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেফতারের সময় খালেদের বাসা থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, লকার থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার বেশ কয়েকটি বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। সেগুলো গণনার পর ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া ডলারেরও বান্ডিল পাওয়া যায়। টাকায় তা ৫-৬ লাখ টাকা হবে বলে জানায় র্যাব।
এছাড়া অভিযানে তার কাছ থেকে মোট তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দুটি লাইসেন্স থাকলেও তার শর্ত মানা হয়নি।