কার্তিক মাস এসেছে এক সপ্তাহের বেশি। আকাশ থাকবে ঝকঝকে নীল। সূর্য ছড়াবে মিষ্টি আলো। সঙ্গে হালকা হিম বাতাস। কিন্তু প্রকৃতির মাঝে এখন কোনো কিছুরই দেখা নেই। বরং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। ঝরছে ঝিরিঝিরি বা ভারী বৃষ্টি। সূর্যের দেখা তো নেই বললেই চলে।
হেমন্তে প্রকৃতির কেন এই আচরণ? আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে প্রচুর জলীয় বাষ্প সৃষ্টি হচ্ছে। এই জলীয় বাষ্প থেকে সৃষ্টি হওয়া মেঘমালা বাংলাদেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এ কারণে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, শুধু বঙ্গোপসাগরের নয়, আরব সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। দুই লঘুচাপের কারণে মেঘমালা বয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে। এসব লঘুচাপ বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে না। তবে আগামী দুই দিন এর প্রভাবে খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি হবে। এ কয়দিন আকাশ হালকা মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
শীতের বার্তা কবে পাওয়া যাবে?
এ প্রশ্নের উত্তরে আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে। এরপর একটা বিরতি থাকবে। এখন যেহেতু কিছুটা বৃষ্টি হচ্ছে, এ কারণে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। এর প্রভাব ২৮ অক্টোবরের পরও থাকতে পারে। যেহেতু দিনের ব্যাপ্তি কমে এসেছে, তাই চলতি মাসের শেষ দিক থেকে একটা শীত শীত অনুভূতি থাকবে। তবে এটিকে শীতকাল বলা যাবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গতকাল বুধবার সকাল ছয়টার পর থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে খুলনা জেলায়। পরিমাণ ছিল ৫১ মিলিমিটার। এ সময় পাশের জেলা গোপালগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ৩১ মিলিমিটার। রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২৭ মিলিমিটার।
আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় আজ সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, এক দিনের ব্যবধানে ঢাকার তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।