১৩ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনকারী ক্রিকেটাররা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। এছাড়া আগামী শনিবার থেকে খেলোয়াড়রা মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া আগামী শনিবার থেকে খেলোয়াড়রা মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ বুধবার রাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠকে ক্রিকেটাররা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পাপন জানান, ক্রিকেটারদের ১৩টি দাবির মধ্যে ১০ দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। ক্রিকেটারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) নিয়ে যে দাবি তা বিসিবির আওতায় বাইরে। এছাড়া বাকি দাবি নিয়ে কিছুদিনের মধ্যে আলোচনা হবে।
এর আগে ১৩ দফা দাবি নিয়ে নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ক্রিকেটাররা। বুধবার রাতে মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এই আলোচনায় অংশ নেন বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারাও।
এর আগে সন্ধ্যায় রাজধানী গুলশানের একটি হোটেলে আইনজীবীর মাধ্যমে ওই ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন ক্রিকেটাররা। এরপরই বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে মিরপুরের উদ্দেশে রওনা দেন সাকিব-তামিমরা।
ক্রিকেটারদের ১৩ দফাগুলো
১. ক্রিকেটারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) দায়িত্বে যারা আছেন তাদের সরাসরি পদত্যাগ করতে হবে। সংগঠনটির স্বাধীনতার জন্য এমন সিদ্ধান্ত মানতে হবে।
২. প্রফেশনাল ক্রিকেটারস অ্যাসোসিয়েশন থাকবে যার একটা প্রসেস থাকবে যেখানে শুধু খেলোয়াররা থাকতে পারবে। ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডে প্রথম এই ধরনের ক্রিকেট সংগঠন গড়ে ওঠে যেটা ক্রিকেটারদের স্বার্থ দেখবে। আমাদের দেশেরও সেরকম প্রতিষ্ঠান দরকার।
৩. ঢাকার যত লিগ আছে তা আগের নিয়মে চলতে হবে। প্লেয়ার্স বাই চয়েস নিয়মে ফেরত যেতে হবে। ক্রিকেটাররা এমনভাবে খেলতে আগ্রহী। বিপিএলও একইভাবে চলতে হবে। আগের মতো চলতে হবে। বিপিএলে দেশি-বিদেশিদের মধ্যে মূল্যের তারতম্য রাখা যাবে না।
৪. প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ফি কমপক্ষে এক লাখ টাকা থাকতে হবে।
৫. সারা বছর কোচ, ফিজিও নিয়োগ রাখতে হবে এবং অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে।
৬. ন্যাশনাল টিমের কন্ট্রাকটেড প্লেয়ারদের সংখ্যা কমপক্ষে ৩০ জন হতে হবে।
৭. লোকাল স্টাফ, কোচ, গ্রাউন্ডসম্যানদের বেতন অন্য টেস্ট খেলুড়ে দেশের মতো সমমানের হতে হবে।
৮. অতিরিক্ত দেশিয়দের জন্য টি-টোয়েন্টি লিগের আয়োজন করতে হবে।
৯. বছরজুড়ে ক্রিকেট সূচি থাকতে হবে এবং সেটা একইরকমভাবে থাকতে হবে। কোনোরকম ভঙ্গ করা যাবে না।
১০. প্লেয়ারদের সব পাওনা সময়মতো পরিশোধ করতে হবে, এবং সিজনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
১১. দুটির বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে দিতে হবে। কোনো রেস্ট্রিকশন রাখা যাবে না। জাতীয় পর্যায়ের খেলা ছাড়া কোনো সময় নিষেধ করা যাবে না।
১২. বিসিবির যে রেভিনিউ থাকবে তার একটা অংশ ক্রিকেটারদের দিতে হবে। ভারতের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে কমার্শিয়াল হতে হবে।
১৩. বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও একইরকম সুবিধা প্রদান করতে হবে ঠিক যেমনটা ছেলেরা সুবিধা পেয়ে থাকে।