বাংলাদেশের ক্রিকেটে আবারো ফিক্সিংয়ের কালো থাবা আঘাত হানল। এবার অবশ্য ফিক্সিংয়ে ক্রিকেটার জড়াননি। তবে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতি দমন বিভাগকে অবগত করেননি সাকিব আল হাসান। ফলে ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার। ২ বছর আগে আন্তর্জাতিক একটি ম্যাচে সাকিব এমন প্রস্তাব পেয়েছেন বলে জানা গেছে (এছাড়া আইপিএল ও বিপিএলের দুটি ম্যাচেও তদন্ত চলছে)। তবে শাস্তির মাত্রা কমতেও পারে। টেলিফোন রেকর্ড রয়েছে আইসিসির দুর্নীতি বিভাগের কাছে। এসব কিছুর ওপর বিবেচনা হবে। আইসিসি এখনও নিষেধাজ্ঞার খরগ আনেনি। সাকিবের সাথে আলোচনা হবে। সেই জুয়াড়ির বক্তব্য প্রয়োজন। এসব কিছু এক সুতোয় আনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সব কিছু সাকিবের বিপক্ষে গেলে তিনি নিষিদ্ধ হতে পারেন।
সাকিব আল হাসান আইসিসির প্রতিনিধি ও দুর্নীতি দমন বিভাগের সঙ্গে কথা বলতেই ভারত সফরে যেতে রাজি হননি। তিনি সুরাহা করতে চেয়েছেন। ৩০ অক্টোবর ভারতে যাওয়ার কথা ক্রিকেটারদের। অনুশীলন ছাড়াও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ভারতে ৩টি টি-টোয়েন্টি ও ২টি টেস্ট ম্যাচ রয়েছে। ৩ নভেম্বর দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি রয়েছে।
সাকিব মিরপুরে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই খেলেননি। আর অনুশীলনেও গতকাল তাকে দেখা যায়নি। তামিম ইকবাল আবার বাবা হতে যাচ্ছেন। সেজন্য তিনি ভারত সফরে যাচ্ছেন না। সাইফউদ্দিন আগেই ছিটকে পড়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন দল পরিবর্তনের জন্য পদক্ষেপ নেবেন। আজ টি-টোয়েন্টির জন্য নতুন দল ঘোষণা হবে। সাকিবের না থাকার সম্ভাবনা বেশি। আইসিসি কি ভাবছে সেটার জন্য এখন অপেক্ষা। আইসিসির নির্দেশনার ওপর সাকিবের ভাগ্য নির্ভর করছে। তবে আইসিসি যদি চায় তাহলে সাকিবকে তারা জবাবদিহির জন্য রেখে দেবে। আর সাকিব ভারত সফরে যেতে পারবেন না।
একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির সঙ্গে খেলোয়াড় ধর্মঘটের সময় চুক্তিবদ্ধ হন সাকিব। বিসিবি প্রেসিডেন্ট ওই সময়ে এমন চুক্তিতে বিরক্ত হন। গতকাল সবাই ধারণা করছিলেন, বিসিবি হয়তো কোনো পদক্ষেপ নেবে। আসলে সাকিব অন্য এক সংকটে পড়েছেন এটা প্রায় জানাই ছিল না কারো।
আইসিসির নিয়ম হচ্ছে, বাজিকররা ম্যাচ পাতানোর অফার করলে জানাতে হয়। এটা গোপন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সাকিব অবশ্য লড়াই করবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও সাকিবের পক্ষে রয়েছে। আইসিসির অ্যান্টি করাপসন অফ সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু) কাজ করছে এই ব্যাপারটি নিয়ে। সাকিব শাস্তি কমানোর জন্য আবেদন করবেন। আর নিয়মিত কথা তো বলবেনই। বাজিকররা এমন লোভের জাল বিছিয়ে চলেন দীর্ঘদিন ধরেই। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিবের এই মূহুর্তে না থাকাটা ক্ষতি হতে পারে।