গোল করেছিলেন ৯২ মিনিটেই। রেফারি ভিএআরের সহায়তা নিয়ে গোলটি বাতিল না করলে সেটিই হতে পারতো ম্যাচের জয়সূচক গোল। তবে মিনিটখানেক বাদেই দলকে নাটকীয় জয় এনে দেয়া গোলটা ঠিকই করেছেন জুভেন্টাসের পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
পয়েন্ট খোয়ালেই শীর্ষস্থানে চেপে বসবে ইন্টার মিলান। ফলে জয়ের জন্য মরিয়াই ছিলো মাউরিসিও সারির শিষ্যরা। কিন্তু তুলনামূলক দুর্বল জেনোয়ার বিপক্ষে একের পর এক ফাউল ও কার্ড প্রদর্শনীই চললো। যাতে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক খেলা।
রেফারির কার্ড দেখেছে দুই দলই। বরং বেশি ফাউল করেছে স্থানীয় দল জুভেন্টাসই। পুরো ম্যাচে ২৪ বার ফাউল করে ৩টি হলুদ কার্ডের পাশাপাশি একটি লাল কার্ডও দেখেছেন জুভেন্টাসের খেলোয়াড়রা। অন্যদিকে ১১ ফাউলের বিপরীতে ১টি হলুদ কার্ড ও ২টি কার্ড দেখেছে জেনোয়া।
বুধবার রাতের ম্যাচটির বড় হাইলাইটস হয়ে থাকতো এই কার্ড-কার্ড খেলাই। যদি না ম্যাচের একদম শেষমুহূর্তে, অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে পেনাল্টির মাধ্যমে জয়সূচক গোল করে বসতেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
প্রথমে ৯২ মিনিটের মাথায় ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সাহায্য নিয়ে রোনালদোর গোল বাতিল করেন রেফারি। পরের মিনিটে রোনালদোকে ফাউল করা হলে, ভিএআরের সাহায্য নিয়েই পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পটকিকে গোল করে দলকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট এনে দেয়ার আনন্দে উদ্ভাসিত হন রোনালদো।
এর আগে নিজেদের ঘরের মাঠে ম্যাচের ৩৬ মিনিটের সময় লিওনার্দো বনুচ্চির গোলে লিড নেয় জুভেন্টাস। তবে মিনিট চারেক পরই এটি শোধ করে দেন জেনোয়ার ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ান কুয়াম। এ দুই গোলেই জমে ওঠে ম্যাচ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৫১ মিনিটের মাথায় ফ্রান্সেসকো ক্যাসাতা এবং ৫৭ মিনিটে ফ্রেডরিখ মারচেত্তি লাল কার্ড দেখলে নয়জনের দলে পরিণত হয় জেনোয়া। তবু তাদের রক্ষণ ভাঙতে পারছিলেন না জুভেন্টাসের তারকা খেলোয়াড়রা।
উল্টো ম্যাচের ৮৭ মিনিটের মাথায় আদ্রিয়ান র্যাবিয়ট লাল কার্ড দেখলে, জুভেন্টাসও পরিণত হয় দশ জনে। শেষপর্যন্ত একটি অবৈধ গোলের পর, জয়সূচক বৈধ গোলটি করেই জুভেন্টাসকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পাইয়ে দেন রোনালদো।
এ জয়ের পর ১০ ম্যাচে ৮ জয় ও ২ ড্রতে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে জুভেন্টাস। সমান ম্যাচে ৮ জয় ও ১ ড্রতে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্টার মিলান।