খেলোয়াড়ি জীবনে যতোটা নান্দনিক ফুটবলার ছিলেন, ক্যারিয়ার শেষের পর যেনো ঠিক ততোটাই পাগলাটে চরিত্রে রূপ নিয়েছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। কোচ হিসেবে ইতিবাচক খবরে যতোটা না শিরোনামে পরিণত তিনি, তার চেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন উদ্ভট সব কীর্তিকলাপের জন্য।
যার সবশেষটি বলা যায়, নিজের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দান করে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা। নিজের মেয়ে জিয়ানিন্না ম্যারাডোনার এক মন্তব্যের জেরেই এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বাবা ডিয়েগো ম্যারাডোনা।
শখের বশে করানো কোচিংয়ের অংশ হিসেবে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের পর মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ক্লাবের ডাগআউট গরমে ম্যারাডোনা আবার ফিরেছেন নিজের দেশে। কোচিং করাচ্ছেন ক্লাব জিমনাসিয়াতে। কিন্তু লিগে ২৪ দলের মধ্যে তার দলের অবস্থান ২৩তম। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ধেয়ে আসছে সমালোচনার ঢেউ।
এসব সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্য করে এক কলামে ম্যারাডোনার মেয়ে জিয়ানিন্না লিখেন, ‘বাবা ভেতর থেকে মারা যাচ্ছেন। এমন নয় যে তিনি শারীরিকভাবে মারা যাচ্ছেন বা তার অঙ্গপ্রতঙ্গ কাজ করছে না। তিনি আসলে মানসিকভাবে মারা যাচ্ছেন এবং এটা বুঝতে পারছেন না। মানুষ কী চায় তা আমি জানি না। তবে এটুকু বলতে বাবা এর চেয়ে আরও ভালো কিছু ডিজার্ভ করে। তার জন্য দোয়া করবেন সবাই।’
কিন্তু মেয়ের এই লেখা ঠিকঠাক বুঝতে পারেননি ম্যারাডোনা। তিনি ভেবে বসেছেন তার সম্পত্তির প্রতি লোভের কারণেই অসুস্থ্যতার নাটক সাজিয়েছেন সার্জিও আগুয়েরোর স্ত্রী জিয়ানিন্না ম্যারাডোনা। আর তাই ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের সব কিছু দান করে দেয়ার কথা জানান ডিয়েগো ম্যারাডোনা।
এক ভিডিও বার্তায় আর্জেন্টাইন বলেন, ‘আমি মোটেও মারা যাচ্ছি না। আমি শান্তিতে ঘুমাই কারণ আমি কাজ করছি। আমি জানি না জিয়ানিন্না কী বলতে চেয়েছে। তবে আমি এটা বুঝতে পারি যে, আপনি যখন বৃদ্ধ হন, তখন আশপাশের মানুষ আপনি কী করছেন তার চেয়ে বেশি ভাবে আপনি কী রেখে যাচ্ছেন। তাদের বলে দিতে চাই, আমার সবকিছু আমি দান করে যাবো। হ্যাঁ, আমি এটাই ঠিক করেছি। সব কিছু দান করে দেবো।’