ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুম পরিদর্শনে গেলে ছাত্রলীগের হাতে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক। এসময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি করে নুরের হাত ধরে ছাত্রলীগকর্মীদের টানাটানি করার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিজয় একাত্তর হলের গণরুমের শিক্ষার্থীদের দেখতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক বিজয় একাত্তর হলের ক্যান্টিনে দুপুরে খাবারের পর গণরুমে শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নিতে গেলে সেখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দ্বারা হেনস্থার শিকার হয়েছেন। ভিপি নুর গণরুমে ঢুকতে দরজায় আসলে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী এসে একটি রুমের দরজা আটকিয়ে দেয়।
পরে আরেকটি রুমে ঢুকলে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা ভিপি নুরের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি করে নুরের হাত ধরে টানাটানি করে সাদিক নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। এসময় ছাত্রলীগের রুমে কেন এসেছে প্রশ্ন করে উচ্চস্বরে কাউকে কাউকে গালিগালি করতে শোনা যায়।
এছাড়া ভিপির সঙ্গে থাকা ডাকসু সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, ফারুক হোসেনসহ অন্যরাও ধাক্কাধাক্কি এবং হেনস্থার শিকার হয়েছেন।
আজকে বিজয় একাত্তর হলের গণরুমের যাওয়া প্রসঙ্গে ভিপি নুরুর হক বলেন, আমরা কয়েকজন বিজয় একাত্তর হলে দুপুরে খেতে গিয়েছিলাম। ১ম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করলে আমরা গণরুমে যাই। সেখানে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে চাইলে ছাত্রলীগ পরিচয়ে কয়েকজন উচ্ছৃংখল আচরণ করে। একই সাথে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করে। আমি হল প্রাধ্যক্ষকে বিষয়টা অবহিত করেছি তিনি বলেছেন বাইরে আছেন।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ— অনুমতি নিয়ে না যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডাকসু ভিপি বলেন, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আরেক হলে গেলে অনুমতি নিতে হয় এমন নিয়ম নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি যেতেই পারি।
নুরুল হক বলেন, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়— আমরা কাজ করি না, শিক্ষার্থীদের খোঁজ নেই না। মূলত তারা চায় না, শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদের কানেকশন তৈরি হোক। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ঘটনায় আপনারা সেটা লক্ষ্য করেছেন। এর মাধ্যমে আবারও তা প্রমাণ হলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিজয় একাত্তর হলের ঘটনাটি আমরা শুনেছি। এখন হল প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানে কী হয়েছে তা জানার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ভিপি নুরুল হক বিজয় একাত্তর হল প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সেখানে গেছে কিনা তাও জানতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রক্টর।