ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন আলেয়া সারোয়ার ডেইজী। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) সমর্থিত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সেন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডেইজী সারোয়ার পেয়েছেন ২ হাজার ৯১ ভোট। এর আগে তিনি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।
পরাজয়ের পর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পরিবারকে সময় দেবেন। এজন্য আগামী এপ্রিলে নিউইর্য়কে পরিবারের কাছে চলে যেতে পারেন। রবিবার এ কথা জানান ডেইজী। এই ওয়ার্ডে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ইমতিয়াজ খানকে হারিয়ে জয়লাভ করেন সফিকুল ইসলাম সেন্টু।
ডেইজী বলেন, নির্বাচনে হেরে গেলেও আমি জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছি। আমি ভালোবেসেছি আমার নেত্রী শেখ হাসিনাকে, ভালোবেসেছি জনগণকে। বিজয়ী হয়ে জনগণের জন্যই কাজ করতে চেয়েছিলাম। পরাজিত হয়ে আমি দুঃখ পাইনি। আমার দুঃখ আমি আওয়ামী লীগকে এই আসনটি দিতে পারিনি। আমি জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছি। আমি আমার নেত্রী শেখ হাসিনার হয়ে জনগণের জন্য কাজ করেছি, আগামীতেও করতে চেয়েছিলাম। আমার সেই ইচ্ছা ছিল, শক্তি ছিলো।
তিনি আরও বলেন, ভোটের দিনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর পক্ষ থেকে আমার ওপরে যে আচরণ করা হয়েছে সেটা মোটেও শোভনীয় ছিল না। জয়ের জন্য আমার চেষ্টা ছিলো। কিন্তু এই নোংরা মানুষগুলোর কাছে আমি হেরে গেছি।’
২০১৮ সালের মার্চে ঢাকা সিটিতে ডেইজীর মশকনিধনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ডিএনসিসির ফেসবুক পেজে ওই ভিডিও ও ছবি পোস্ট করে লেখা হয় প্যানেল মেয়র আলেয়া সারোয়ার ডেইজীর নেতৃত্বে এয়ারপোর্ট এলাকায় মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি গাড়ির উপরে দাঁড়িয়ে আছেন ডেইজী। দু’পাশে দাঁড়িয়ে মশা মারার ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করছেন দুই কর্মী। ভিডিওটি ওই সময়ে বেশ আলোচিত-সমালোচিত হয়।
সদ্য সম্পাত নির্বাচনে ডেইজী সারোয়ার সংরক্ষিত আসন থেকে বেরিয়ে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।