জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ঢাকা সিটি নির্বাচনকে মোটেও ভালো নির্বাচন বলা যাবে না। সরকার দায়িত্বহীনভাবে সংবিধান পরিপন্থী কাজ করছে। নির্বাচনের প্রক্রিয়া পদ্ধতিকে ধ্বংস করেছে। যার ফলে আজকে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলে নিজ চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়মকালে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে ড. কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মহসীন রশিদ।
খালেদা জিয়ার কারাবন্দির ২ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে আয়োজিত এ সভা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ সভা করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ড. কামাল বলেন, আমরা এ কথাগুলো জনগণকে বলতে থাকবো, বলার দিক থেকে আমাদের কোনো কমতি নেই। আমরা বলতে থাকবো, মানুষকে জানাতে থাকবো। মানুষ একদিন ঘুরে দাঁড়িয়ে বলবে- সরকার যে কাজগুলো করছে সেটা সঠিক নয়।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, সব কিছু পরিবর্তন জনগণই আনবে। জনগণই সকল অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে, গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
এ সময় জাসদ সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ধৈর্য সহকারে রাজনৈতিক দলকে দৃঢ়তার সঙ্গে আন্দোলনে নামতে হবে। অস্থির হলে চলবে না। সময় বলে দেবে কখন কি করতে হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রয়োজন অনুযায়ীই পদক্ষেপ নেবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি। জনগণের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এখন থেকে আমরা রাস্তায় পথে ঘাটে মিটিং-মিছিলসহ সব ধরনের সভা কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মানুষ আন্দোলন নিয়ে যে আশার কথা বলছে এখন থেকে সেটারই প্রতিফলন ঘটবে।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তাক আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়কারী শহিদুল্লাহ কায়সার, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব অ্যাড. শাহ আহমেদ বাদল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।