মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে পারল না বাংলাদেশের মেয়েরা। সোমবার বাংলাদেশকে ১৮ রানে হারিয়েছে ভারতের মেয়েরা। পার্থে সোমবার আগে ব্যাটিং করে ১৪২ রান তোলে ভারত। আর খেলতে নেমে ২০ ওভার খেলে আট উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে বাংলাদেশের মেয়েরা।
চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশের কাছে ভারতের যুব দল হারল মানেলেও হার মানলেন না মহিলাবিগ্রেড। ৯ ফেব্রুয়ারি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরে ট্রফি হাতছাড়া হয় ভারতের। তীরে এসে তরি ডুবে পরস মামরের দলের। কিন্তু উইকেরি রমনের দল এদিন হার মানেনি। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ১৮ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের দৌড় গোরায় পৌঁছে গেছে ভারত।
প্রথম ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ১৪২ রানে তুলেছিল ভারত। ওপেনিং জুটিতে এদিনও বড় রান তুলতে পারেনি ভারত। দলীয় ১৬ রানে আউট হন তানিয়া ভাটিয়া। মাত্র ২ রান করে ডাগ-আউটে ফেরেন টিম ইন্ডিয়ার উইকেটকিপারউইম্যান। পার্টনারকে হারালেও প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও দমেননি ১৬ বছরের শেফালি। ১৭ বলে ৪টি ছক্কা ও ২টি চারসহ ৩৯ রান করেন ভারতীয় এই টিনেজার। শেফালির বিদায়ে ধীর হয়ে আসে ভারতের ইনিংস। তেমন কিছু করতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর (৮), দিপ্তি শর্মা (১১) এবং রিচা ঘোষ (১৪)। তবে জেমিমাহ রদ্রিগেজ ৩৭ বলে ৩৪ এবং ভেদা কৃষ্ণামুর্থি ১১ বলে ২০ রান করে দলকে ১৪২ রানের সংগ্রহ এনে দেন।
লক্ষ্য ছিল কঠিন কিন্তু স্বপ্ন ছিল বড়। তবে ব্যাট হাতে আর কাজের কাজ করা সম্ভব হয়নি। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ পেরে ওঠেনি ভারতের সঙ্গে। রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।
শুরুতেই শামীমা সুলতানার উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সানজিদা ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়েন মুরশিদা খাতুন। ২৬ বলে ৩০ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেন উদ্বোধনী জুটিতে নামা মুরশিদা। দলীয় ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আবারো শঙ্কায় পড়ে সালমা খাতুনের দল। মাঝে ফাহিমা খাতুনের সঙ্গে নিগার সুলতানার ২৮ রানের জুটি আবারো দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকে। কিন্তু ২৬ বলে ৩৫ রান করে নিগার সুলতানা ফিরে গেলে জাহানারা আলম ও রুমানা আহমেদের ঝড়ো ইনিংস দর্শকদের কিছুটা আনন্দ দিয়েছে শুধু।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৪ রান। ফলে ১৮ রানের হার নিয়েই মাঠে ছাড়তে হয় সালমা খাতুনের দলকে। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৮ রান খরচ করে তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছেন পুনম। আর ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নিয়েছেন শিখা।