স্বাধীনতার পর হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে, এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধী নিজামী-মুজাহিদ গংদের এ দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমতায় পুনর্বাসিত করা হয়েছে। অথচ মুক্তিযোদ্ধারা আজও অবহেলিত। তাদের স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক দেওয়া হয় না।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির অভিষেক ও আলোচনা সভায় ব্যক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, মুজিববর্ষে এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হতে পারে। বিশেষ করে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই আর্দশ যেন ধারণ করতে পারি সেই চেষ্টা সফল করতে হবে। তাহলেই মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন স্বার্থক হবে।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে মুক্তিযুদ্ধের এস ফোর্স ব্রিগেড অধিনায়ক ও সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল কে. এম. সফিউল্ল্যাহ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা যেভাবে নির্যাতন শুরু করেছিল যদি বাঙালিরা রুখে না দাড়াতো তাহলে স্বাধীনতা অর্জন করা কঠিন হয়ে যেত। বাঙালিরা কখনো পিছ পা হয়নি। বাঙালিরা শুধু অস্ত্রের দিয়ে যুদ্ধ করেনি। হাতাহাতির মাধ্যমেও যুদ্ধ করেছে। বাঙালিরা সাহসী জাতি। আপনারা সেই দেশের নাগরিক। তাই সামনে যত ঘটনাই আসুক কখনো পিছ পা হবেন না। আমাদের বিজয় হবেই৷’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বের বক্তব্যে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মীর মোহাম্মদ আসালত বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু নির্দেশে যুদ্ধ করেছি। কিছু পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করিনি। আজকে যে দায়িত্ব পেয়েছি সেটা শ্রদ্ধার সাথে পালন করব। এই সংগঠনে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই। যদি এধরনের কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আলোচনা সভায় সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি মো. নুরুল আলম, মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটওয়ারী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুজ্জামান তারা প্রমুখ বক্তব্য দেন।