করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে এশিয়া-ইউরোপ-আমেরিকা সহ পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশেও তিনজনের দেহে ধরা পড়েছে এই প্রাণঘাতি ভাইরাসের উপস্থিতি। যাদেরকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জারি করেছে উচ্চ সতর্কতা। বিশ্বের প্রতিটি দেশের সরকার ও জনগণকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হওয়ার আহবান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর নয়তো পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংস্থাটি। এখনই হুঁশিয়ার না হলে মারা যাবে কোটি কোটি মানুষ। চীনের বাইরে এই ভাইরাস ১৭গুন দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত এবং সচেতেন মানুষদের দেশেও করোনা ভয়াবহ আকার ধারন করছে। সেখানে আমাদের মতো অনুন্নত এবং অসচেতন দেশ যে কতোটা ঝুঁকিতে আছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে এখনই সতর্ক না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করবে।

করোনাভাইরাসের কোনো ওষুধ নেই। ফলে সতর্কতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণই এই ভাইরাস মোকাবিলার একমাত্র উপায়।

চীনের উহান শহর থেকে ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৯৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। মারা গেছে ১৬টি দেশের সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কিছু পরামর্শ মেনে চলার কথা বলেছে আইসিডিডিআরবি। লেখচিত্রে এই নির্দেশনাগুলো প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। ওই সচিত্র নিদের্শনায় বলা হয়…

নতুন করোনা ভাইরাস (সিওভিআইডি-১৯)-সহ অন্যান্য সংক্রমণ থেকে নিজেকে এবং
অপরকে রক্ষা করুন।

ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করুন। উভয় হাত। কব্জি পর্যন্ত হাতের উভয় পাশ, হাতের নখসমূহ। সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে হাত পরিষ্কার করুন অন্তত ৪০-৬০ সেকেন্ড সময় ধরে।

অথবা, অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন (২০-৩০ সেকেন্ড)।

পানি দিয়ে হাত ভেজান। পুরো হাতে সাবান মেখে ভালো করো ধুয়ে নিন।

অথবা, হাতের তালুতে স্যানিটাইজার দিয়ে ভালকরে হাত পরিষ্কার করুন।

হাঁচি-কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন। হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় হাতের কনুই এর ভাঁজে, বা টিস্যু দিয়ে মুখ ও নাক ঢাকুন।

ব্যবহৃত টিস্যুটি দ্রুত বন্ধ ডাস্টবিনে ফেলুন এবং সানিটাইজার বা সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে হাত পরিষ্কার করুন।

অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শকরা থেকে বিরত থাকুন।

আক্রান্ত ব্যাক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।

হাঁচি, কাশি বা জ্বরে আক্রান্ত ব্যাক্তি থেকে কমপক্ষে ১ মিটার বা ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

পরিচিত বা অপরিচিত ব্যাক্তির সাথে হাত মেলানো বা আলিঙ্গন করা থেকে বিরত থাকুন।